বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র ভাবসম্প্রসারণ পিডিএফ ডাউনলোড

ভাব সম্প্রসারণ কি ? ভাবসম্প্রসারণ কাকে বলে?

আমাদের দেশের কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় কখোনো কোনো একটি বাক্যে বা কবিতার এক বা একাধিক চরণে গভীর কোনো ভাব নিহিত থাকে। সেই ভাবকে বিস্তারিতভাবে লেখা, বিশ্লেষণ করাকে ভাবসম্প্রসারণ বলে।
ভাবসম্প্রসারণ
ভাবসম্প্রসারণ

বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম বা ভাবসম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে যেসব দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবেঃ

১। উদ্ধৃত অংশটুুকু মনোযোগসহ পড়তে হবে।

২৷ অন্তর্নিহিত ভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

৩। অন্তর্নিহিত ভাবটি কোনো উপমা-রূপকের আশ্রয়ে নিহিত আছে কি না, তা চিন্তা করতে হবে।

৪। সহজ-সরলভাবে মূল ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

৫। মূল বক্তব্যকে প্রকাশরূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।

৬। বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র এই ভাবসম্প্রসারণ লিখার নিয়ম উপর থেকে জেনেছি৷ আমরা শিখতে পারবো বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র ভাবসম্প্রসারেণ কি ভাবে লিখতে পরবো। ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণী এবং SSC HSC JSC PSC বাংলা ২য় পত্রের ভাবসম্প্রসারণ।

মূলভাব:

বিদ্যা তথা জ্ঞানের চেয়ে মূল্যবান জিনিস আর নেই । জাতীয় মুক্তিতে শহীদের অবদানের চেয়ে জ্ঞানীর অবদান কম নয়।

সম্প্রসারিত ভাব:

স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব ও স্বধর্ম রক্ষার জন্য যারা অকুণ্ঠচিত্তে জীবন উৎসর্গ করেন তাদের শহীদ বলে। শাহাদত বরণ পরম গৌরবের , শহীদের রক্ত পবিত্র। তবে শহীদের তপ্ত শোণিতের চেয়ে পবিত্রতম হলো জ্ঞানীর বিদ্যার্জনের জন্য ব্যবহৃত লেখার কালি। শহীদেরা জীবন বিসর্জন দেয় জাতির মুক্তির লক্ষ্যে। সত্য ও কল্যাণের ধারাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখাই শহীদের ব্রত। ধারালো অস্ত্রের সামনে শহীদ তার বক্ষ উন্মুক্ত করে দেয়। কিন্তু মুক্তি বলতে শুধুমাত্র ভৌগোলিক বা রাষ্ট্রীয় মুক্তি বোঝায় না। মানুষের প্রকৃত মুক্তি ঘটে তার চেতনার জাগরণ , জ্ঞানের স্ফুরণে। একটি জাতি যদি শিক্ষা - দীক্ষা ও জ্ঞান - বিজ্ঞানে অগ্রগতি অর্জন করতে না পারে তাহলে তার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব মূল্যহীন হয়ে পড়ে। চেতনার মুক্তি ছাড়া প্রকৃত মুক্তি অর্জন সম্ভব হয় না। আর জাতিকে প্রকৃত মুক্তির গৌরব এনে দিতে পারে শুধুমাত্র বিদ্বানরাই। যারা বিদ্বান বা জ্ঞানী তারা তাদের লেখনী দ্বারা জাতির মাঝে জ্ঞান বিতরণ করেন। বিতরিত জ্ঞানের আলোকে জাতির সামাজিক সত্তার জাগরণ ঘটে। শহীদ তার রক্ত দিয়ে জাতিকে ঋণপাশে আবদ্ধ করে। অপরদিকে বিদ্বান তার লেখনী দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথ - নির্দেশ করে। বুকের রক্তের মতো পবিত্র ও মূল্যবান হয়ত কিছুই নেই। কিন্তু প্রকৃত বিচারে বিদ্বানের ব্যবহৃত কালি সে রক্তের চেয়েও অনেক বেশি পবিত্র। 

মন্তব্য:

বিদ্যা তথা জ্ঞানের চেয়ে মূল্যবান জিনিস আর নেই। জাতীয় মুক্তিতে শহীদের অবদান এর চেয়ে জ্ঞানীর অবদান কম নয়। শিক্ষার মর্যাদা প্রতিপন্ন করার জন্যে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে। তবে প্রচলিত সার্টিফিকেট - সর্বস্ব শিক্ষার কথা এখানে অবশ্যই বলা হয় নি।


বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর এবং বাংলা ২য় ও ইংরেজি ২য় এবং সকল বিষয়ের তথ্য জানতে চোখ রাখুন  কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজে নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ-


ভাবসস্প্রসারণের সম্পূর্ণ তালিকা
আপনি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন 180 সেকেন্ড পর



এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url