ভাবসম্প্রসারণ পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না,পরের জন্য তোমার হৃদয় - কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও অথবা, মানুষ যেদিন পরের জন্য কাঁদতে শেখে, সেদিন তার দেবত্ব লাভ হয়
ভাবসম্প্রসারণ |
পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না,পরের জন্য তোমার হৃদয় - কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও। অথবা, মানুষ যেদিন পরের জন্য কাঁদতে শেখে, সেদিন তার দেবত্ব লাভ হয় ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম বা ভাবসম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে যেসব দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবেঃ
১। উদ্ধৃত অংশটুুকু মনোযোগসহ পড়তে হবে।
২৷ অন্তর্নিহিত ভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
৩। অন্তর্নিহিত ভাবটি কোনো উপমা-রূপকের আশ্রয়ে নিহিত আছে কি না, তা চিন্তা করতে হবে।
৪। সহজ-সরলভাবে মূল ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
৫। মূল বক্তব্যকে প্রকাশরূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।
৬। বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না,পরের জন্য তোমার হৃদয় - কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও। অথবা, মানুষ যেদিন পরের জন্য কাঁদতে শেখে, সেদিন তার দেবত্ব লাভ হয়। এই ভাবসম্প্রসারণ লিখার নিয়ম উপর থেকে জেনেছি৷ আমরা শিখতে পারবো নাম মানুষকে বড় করে না , মানুষই নামকে বড় করে তোলে ভাবসম্প্রসারেণ কি ভাবে লিখতে পরবো। ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণী এবং SSC HSC JSC PSC বাংলা ২য় পত্রের ভাবসম্প্রসারণ।
মূলভাব:
মানবজীবনের উদ্দেশ্য হলো পরার্থে আত্মদান। সকলেই যদি সকলের তরে উৎসর্গীকৃত হয় তাহলে মানবসমাজ সুখের সদনে পরিণত হতে বাধ্য । আর স্বার্থপরতা হলো ঘৃণ্য প্রবণতা।
সম্প্রসারিত ভাব:
মানবজীবন স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতায় কলুষিত হয়। পরার্থে আত্মনিবেদনের মধ্য দিয়েই মানবজীবন বিকশিত ও অর্থবহ হয়ে উঠে। পুষ্পের সৌন্দর্য স্বভাবতই নয়ন - মনোহর ; সে সৌন্দর্য রসিকের তন্ময় দৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করে এবং সুধারসে পূর্ণ করে তোলে। সৌন্দর্য ও সৌরভই পুষ্পের গৌরব। কিন্তু পুষ্পের এই সৌন্দর্য ও সৌরভ পুষ্পের কতখানি প্রয়োজন মেটায় তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। আসলে পুষ্পের এই সৌন্দর্য ও সৌরভ তার নিজের জন্য নয়। পবিত্রতা ও তৃপ্তির নৈবেদ্য সাজিয়ে পুষ্প নিজেকে তুলে ধরে সকলের কাছে ; মানুষ পুষ্পের সেই পবিত্রতার জন্যই তাকে নিবেদন করতে চায় শ্রেষ্ঠ অর্থানুরূপে। পুষ্পের প্রকৃত সার্থকতা সেখানেই । পরকে আনন্দ দানের জন্য পুষ্পের বিকাশ। পরের জন্যই পুষ্প উৎসর্গীকৃত। পুষ্প যেমন পরার্থে আত্মোৎসর্গ করে তেমনি প্রতিটি মানুষ যদি আপন ব্যক্তিস্বার্থের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের উদ্দেশ্যে আত্মনিবেদন করে তবেই মানবজীবনের সার্থকতা। পুষ্পের সার্থকতা যেমন আত্মত্যাগে , ব্যক্তিজীবনের সার্থকতাও তেমনি সামগ্রিক কল্যাণ ও শুভ কামনায়। ব্যক্তি ও সমাজ উভয়েরই যে সার্থকতা পারস্পরিক কল্যাণ কামনায় এবং যৌথ জীবনচর্চায় , একথা বিস্তৃত হলে আমাদের চলবে না । আমাদের স্বার্থপর হলে চলবে না স্বার্থপরতা মনুষ্যত্বকে কলুষিত করে , জীবনের সুষম বিকাশকে বিঘ্নিত করে। তাই স্বার্থপরতা ত্যাগ করে আমাদের অন্যের কল্যাণে নিবেদিত হতে হবে । দেবত্ব মানুষের জন্যে অপ্রাপ্য বিষয়। কিন্তু মানুষ যদি পরার্থে আত্মদান করে পরের জন্যে কাঁদতে পারে তাহলে স্বর্গীয় দেবত্ব মানুষের মধ্যেই দৃশ্যমান হয়ে উঠে।
মন্তব্য:
মানুষের কর্তব্য নিজেকে পুষ্পের ন্যায় বিকশিত করা এবং স্বীয় সামর্থ্য ও জ্ঞান - বুদ্ধি দ্বারা বিশ্ব - মানবের কল্যাণসাধনে নিজেকে অকাতরে বিলিয়ে দেওয়া।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর এবং বাংলা ২য় ও ইংরেজি ২য় এবং সকল বিষয়ের তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজে নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ-
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।