ভাবসম্প্রসারণ : দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।

দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার

ভাবসম্প্রসারণঃ দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার ন্যায়বিচারে বিচারককে থাকতে হয় নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ বিচারে দণ্ডিতের জন্য তার সহানুভূতি থাকলেও তা তার সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। দন্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাত সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। 

দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার

বিষয়ঃ ভাবসম্প্রসারণ দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার

শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ এসএসসি এইচএসসি

মূলভাব:

ন্যায়বিচারে বিচারককে থাকতে হয় নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ বিচারে দণ্ডিতের জন্য তার সহানুভূতি থাকলেও তা তার সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না।

সম্প্রসারিত ভাব:

আইনের চোখে সবাই সমান। তাই আইনের শাসন প্রয়োগকারী বা বিচারককে থাকতে হয় সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে গিয়ে বিচারককে হতে হয় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। কখনো কখনো দণ্ডিতের সাথে সম্পর্ক, দণ্ডপ্রাপ্তের বয়স প্রভৃতি বিচারককে মানসিক দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত করে তোলে। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী বিচারক মানসিকভাবে যত বিপর্যস্তই, আবেগে যতই উদ্বেলিত হন না কেন তিনি অন্যায়কারীর প্রাপ্য শাস্তিই দেন। কেননা সামাজিক শাস্তি-শৃঙ্খলা ও মানুষের অধিকার সংরক্ষণে তার দায়িত্ব অপরিসীম। উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে সমাজের খারাপ লোকেরা বাধ্য হয়েই সংযত জীবনযাপন করে। পক্ষান্তরে সামাজিক প্রতিপত্তি বা ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদে যদি কোনো অপরাধীর বিচার বা শাস্তি না হয় তাহলে সমাজে অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সেজন্যে দায়িত্বশীল বিচারক আবেগতাড়িত হন না। তিনি চালিত হন ন্যায় ও আইনের দ্বারা। হযরত উমর (রা)-এর পুত্র আবু শাহমার বিরুদ্ধে মদ্যপান ও ব্যভিচারের অভিযোগ ওঠে। হযরত উমর (রা) নিজে পুত্রের শাস্তি বিধান করেন। নিজ হাতে বেত্রদণ্ড প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি পুত্রের প্রাণ সংহার করেন। প্রিয় পুত্রের অকাল মৃত্যুতে তাঁর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল সত্য কিন্তু পুত্রস্নেহ তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বিরত রাখতে পারে নি। অপরদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি আইনের চোখে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে কিন্তু বিচারকের আন্তরিক সহানুভূতি ও অনুসন্ধান থেকে যেন সে বঞ্চিত না হয় সেদিকটি বিচারককে খেয়াল রাখতে হয়। বিচারককে ভাবতে হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি একজন মানুষ, কারো পুত্র-কন্যা, কারো আপনজন। একজন মানুষ হিসেবে তার দুর্ভাগ্যে বিচারক যদি মর্মাহত হন তাহলে সেটি হবে একান্ত মানবিক। বিচার হিসেবেও সেটি শ্রেষ্ঠ।

মন্তব্য : ন্যায়বিচারে আবেগ ও সহানুভূতির কোনো স্থান নেই। বিচারকের হাত-পা আইনের অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা ।


দন্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাত সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার ভাবসম্প্রসারণ।

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজেঃ-


ভাবসস্প্রসারণের সম্পূর্ণ তালিকা

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url