প্রবাদ - প্রবচন (অ আ ) | বাংলা ভাষার বহুল প্রচালিত প্রবাদ প্রবচন তালিকা অ আ | Prabad Prabacan

প্রবাদ - প্রবচন (অ আ ) Prabad Prabacan

বাংলা ভাষায় বহুল প্রচালিত কিছু প্রবাদ প্রবচন অর্থ সহ (অ আ) অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী - সামান্য বিদ্যা প্রয়োগে অনর্থ ঘটে , আপনি বাঁচলে বাপের নাম - নিজের স্বার্থ বড় করে দেখা।

প্রবাদ - প্রবচন কি?

সাধারণ ব্যাকরণ ‘প্র’ মানে বিশিষ্ট এবং ‘বাদ’ বা ‘বচন’ মানে কথা। অর্থাৎ বিশিষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ কথাই হচ্ছে প্রবাদ বা প্রবচন। প্রবাদ প্রতিটি ভাষার অমূল্য সম্পদ । মানবসমাজের প্রচলিত দীর্ঘদিনের জীবনসত্যের কোন সংক্ষিপ্ত উক্তিকে প্রবাদ বলে।

প্রবাদ প্রবচন প্রয়োজনীয়তা

আমাদের বাংলা ভাষা খুবই সমৃদ্ধ ভাষা। এ বাংলা ভাষায় অরেক প্রবদ প্রবচন রয়েছে। এসব প্রবদ প্রবচন  এর মাধ্যে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার অনেক মূল্যবান সূত্র পাওয়া যায়। তাই প্রবাদ প্রবচন গুলো আমাদের বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।

বহুল প্রচালিত প্রবাদ প্রবচন

  • অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট ➔ অপ্রয়োজনীয় বেশি লোক কাজ নষ্ট করে।
  • অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায় ➔ হতভাগ্য ব্যক্তির সব দিকে নিরাশার বালুচর।
  •  অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর ➔ বেশি দুঃখে স্তব্ধ হওয়া।
  • অভাবে স্বভাব নষ্ট ➔ অভাবে সাধুরও চিরত্র নষ্ট হয়।
  • অতি লোভে তাঁতি নষ্ট ➔ বেশি লোভে ক্ষতি হয়।
  • অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ ➔ বাড়াবাড়ি রকম ভক্তি শ্রদ্ধায় সন্দেহের সৃষ্টি করে ।
  • অতি চালাকের গলায় দড়ি ➔ বেশি চালাক হলে বিপদে পরতে হয়।
  • অকণ্টকবিদ্ধ কি জানে কাঁটাফুটা কী? ➔ সুখী মানুষ জীবনযন্ত্রণা কাকে বলে জানে না; অধিক আড়ম্বরে কাজ হয় না।
  • অকর্মারা বেশি কথা বলে ➔ অকর্মারা কাজের থেকে কথায় বেশি দড়।
  • অকর্মারা সর্বদাই ক্ষুধার্ত ➔ অকর্মারা একটি কাজই জানে শুধু বসে বসে খাওয়া।
  • অকারণে কিছু হয় না ➔ বিনাকারণে গাছের একটি পাতাও নড়ে ন; বিরুদ্ধ উক্তি- অকারণে হৈ চৈ।
  • অকস্মাৎ বজ্রাঘাত ➔ অপ্রত্যাশিতভাবে কোন বিপদের সংঘটন।
  • অকাজে বউড়ী দড়, লাউ কুটতে খরতর ➔গৃহকর্মে অপটু বউ সহজ কাজটা আগে বেছে নেয়।
  • অকারণে হৈ চৈ ➔ অহেতুক চিন্তা; সমতুল্য-'মাথা নেই তার মাথাব্যাথা'।
  • অকেজো বউ লাউ কুটতে দড় ➔ কারণ অন্য আনাজ কাটা থেকে লাউ কোটা অনেক সহজ।
  • অকালকুস্মাণ্ড ➔ অকালে জাত চালকুমড়ার বলি হয় না এই ভাবার্থে- অকেজো, অপদার্থ কোন কাজের নয় ইত্যাদি।
  • অকালমেঘবদ্বিত্তমকম্মাদেতি যাতি চ ➔ সম্পদ অকালোদিত মেঘের মতই হঠাৎ আসে হঠাৎ চলে যায়।
  • অকালে/আকালে কী না খায় ➔ অসময় বা দুর্ভিক্ষের সময়ে খাবারের বাচবিচার করা সম্ভব হয় না, সমতুল্য- 'প্রয়োজনীয়তা কোন নিয়ম মানে না'।
  • অকালে খেয়েছ কচু, মনে রেখ কিছু কিছু ➔ সুখদুঃখমিশ্রিত জীবনের সুখের দিনগুলিতে দুঃখের দিনগুলি ভুলে যাওয়া ঠিক নয়।
  • অকালে বাড়ে সকালে মরতে ➔ দ্রুত বৃদ্ধি দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে।
  • অকালের তাল বড়ই মিষ্টি ➔ অকালে দুস্প্রাপ্য জিনিষ পেলে তৃপ্তিবোধ মাত্রাতিরিক্ত হয়।
  • অকালে না নোয় বাঁশ, বাঁশ করে ট্যাঁশট্যাঁশ ➔ সময়ের কাজ সময়ে না করলে পরে আর পারা যায় ন।
  • অকৃতজ্ঞ মানুষ অপেক্ষা কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয় ➔ কুকুরের বিশ্বাসযোগ্যতা মানুষ থেকে অনেক বেশি।
  • অকৃতজ্ঞের নরকবাস ➔ অকৃতজ্ঞের কঠোর শাস্তি প্রাপ্য।
  • অকেজোর তিন কাজ বড়, ভোজন,ক্রোধ, নিদ্রা দড় ➔ অকর্মণ্যরাও শুধু খায়, হম্বিতম্বি করে, আর ঘুমায়।
  • অকেজো নাপিতের থলিভরা ক্ষুর / অকেজো মিস্ত্রির থলিভরা যন্ত্র ➔ অক্ষমতার দুর্বলতা ঢাকতে ভড়ং বেশী দেখায়।
  • অকেজো বউ লাউ কুটতে দড় ➔ যে কোন কাজ জানে না সে সহজ কাজটা আগে বেছে নেয়।
  • অকেজো মিস্ত্রি যন্ত্রের দোষ ধরে ➔ অকর্মণ্যের অজুহাতের অভাব হয় না, নাচ না জানে অঙ্গন টেরা।
  • অকেজো মানুষের কথা বেশি কাজ কম ➔ কাজে ফাঁকি দিতে বা অক্ষমতা ঢাকতে বেশি কথা বলার প্রয়োজন হয়।
  • অক্রোধস্তপসঃ ক্ষমা বলবতাং ধর্মস্য নিব্যজিতা। সর্বেষামপি সর্বকারণমিদং শীলং পরং ভূষনম্‌॥ (চাণক্য) ➔ তাপসের ক্রোধহীনতা, বলবানের ক্ষমা, ধর্মের ছলহীনতা- এগুলি স্বভাবের সর্বশ্রেষ্ঠভূষণ।
  • অক্ষমের অজুহাত খাড়া➔অক্ষমের অজুহাতের অভাব হয় না।
  • অখণ্ডিত রত্ন মেলে না ➔ রত্ন একটি সম্পূর্ণ ধারণা।
  • অগভীর জলে সফরি ফরফরায় / অল্পজলে সফরি সরফরায়তে ➔ অল্পবিদ্যানেরা সর্বদা বেশি বিদ্যার জাহির করে।
  • অগরমগর করনা- হিন্দি প্রবাদ➔ কিছু করা বা না করার পক্ষে নানা উক্তি দেখানো।
  • অগস্ত্যযাত্রা চিরদিনের জন্য প্রস্থান, জন্মের নত যাওয়া, শেষযাত্রা; শেষ বিদায়; যে-যাত্রায় বিদেশযাত্রী আর ফিরে আসে না; উৎসকাহিনী- অগস্ত্যমুনি ভাদ্রমাসের প্রথমদিনে বিন্ধ্যপর্বত লঙ্ঘন করে দাক্ষিণাত্যে যাত্রা করেন, আর ফেরেন নি; এই ভাবার্থে- ভাদ্রমাস বা প্রতিমাসের প্রথমদিনে যাত্রা নিষিদ্ধ বলে কল্পিত
  • অগা লোকের কাজ ঝকমারি ➔ অকাজের লোকেরা কাজের ক্ষেত্রে বিভ্রাট সৃষ্টি করে।
  • অগুণ মানুষ গুণ না চিনে, মূষা না চিনে বিড়ালী; অপ্রেমী যে প্রেম না চিনে, কাঠ না চিনে কুড়ালী।➔ মানুষের চেতনার বড় অভাব।
  • অগুণস্য হতং রূপম➔ নির্গুণব্যক্তি রূপবান হলেও সেই রূপ বৃথা।
  • অগুরু চন্দন ফেলে চায় শেওড়া কাঠ, কোকিলের ধ্বনি ফেলে বানরের নাট➔ ভালো ছেড়ে মন্দের প্রতি মানুষের অযৌক্তিক আকর্ষণ থাকে।
  • অগ্নি, ব্যাধি ও ঋণ, রেখোনা তিনের চিন (চিহ্ন)➔ আগুন নিবিয়ে ফেলা, রোগ সারিয়ে ফেলা ও ঋণ শোধ করে ফেলা আশু কর্তব্য।
  • অগ্নির্দহতি তাপেন সূর্যো দহতি রশ্মিভিঃ। রাজা দহতি দণ্ডেন তপসা ব্রাহ্মণো দহেৎ ➔ সূর্য প্রদীপ্ত হয় রশ্মির মাধ্যমে।
  • অগ্নিরাপস্ত্রিয়ো মুর্খা, সর্পা, রাজকুলানি চ। নিত্যসেব্যোপচারেণ সদ্য প্রাণহরাণি ষট্‌ ➔ অগ্নি, জল, স্ত্রী, মূর্খ, সর্প ও রাজকুল- এই ছয় বিষয়কে সর্বদা উপচারের সাথে সেবা করা হলেও ক্ষণিকের মধ্যে এগুলি প্রাণ হরণ করতে পারে।
  • অগ্রানে পউটি পৌষে ছেউটি, মাঘে নাড়া ফাগুনে ফাঁড়া- খনা➔ অগ্রানে মাসে ধান কাটলে শোল এনা ধান পাওয়া যায়। (ধান চাষের পদ্ধতি)
  • অঘটন ঘটায় বিধি➔ বিধি সব ঘটনার কারিগর।
  • অঘটির (আদেখলা) ঘটি হল, জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল➔ কোন জিনিষের প্রথম প্রাপক আনন্দের আতিশয্যে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলে।
  • অঙ্কমারুহ্য সুপ্তং হি হত্বা কিং নাম পৌরুষম➔ কোলে শুয়ে যে নিদ্রিত আছে তাকে হত্যা করায় পৌরুষত্ব নেই।
  • অঙ্গারঃ শতধৌতেন মলিনত্বং ন মুঞ্চতি / অঙ্গার হাজার ধুলেও ময়লা ছাড়ে না➔ কয়লা হাজার ধুলেও যেমন রঙ বদলায় না তেমনিই কুলোক কখনো কুপ্রবৃত্তি ছাড়ে না; সমতুল্য- 'ইল্লৎ যায় না ধুলে'; 'কয়লা ছাড়ে না ময়লা';'যার যা রীত ছাড়ে কদাচিত'; 'স্বভাব যায় না মলে',স্বভাবো যাদৃশো যঃ ন জহাতি ইত্যাদি।
  • অচিন্ত্যং হি ফলং সূতে সদ্যঃ সুকৃতপাদপঃ➔ পূণ্যরূপ বৃক্ষ সদ্যই অভাবনীয় ফলদান করে।
  • অচেনা/অজানা বন্ধু থেকে চেনা/জানা শত্রু ভাল➔ অজানা বিষয় থেকে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে।
  • অচেনা পথ আর জঙ্গল সমান, অজানা জল আর জানা শ্মশান➔ এই চারটি বিষয় জীবনে চলার পথে বিপদের কারণ হতে পারে।
  • অচেনা হাতকে কখনো বিশ্বাস করো না; তুমি জানো না, সে কিভাবে তোমার পাশে দাঁড়াবে এবং পিছন থেকে ছুরি মারবে- আরবী প্রবাদ➔ অজানার আশঙ্কা সবসময় থাকে।
  • অজগরের দাতা রাম / অজগরকা দাতা রাম (হিন্দী)➔ অলসের খাবারের অভাব হয় না; যেকোনভাবেই তার তা জুটে যায়; ভগবানই জীবের রক্ষাকর্তা; সমতুল্য- জিভ দিয়েছেন যিনি আহার যোগান তিনি।
  • অজাযুদ্ধে, ঋষিশ্রাদ্ধে, প্রভাতে মেঘডম্বরে, দাম্পত্যকলহে চৈব বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া। (চাণক্য)➔ অজার লড়াই, ঋষির শ্রাদ্ধ, সকালের মেঘগর্জন ও দাম্পত্য কলহে প্রথমে একটু বাড়াবাড়ি হয় তবে শেষে ফল সামান্যই হয়।
  • অজীর্ণে ভেষজং বারি; জীর্ণে বারি বলপ্রদম্➔ বদহজমের একমাত্র ওষুধ জল; দুর্বলকে জল শক্তি যোগায়।
  • অজ্ঞতাই ভক্তি করে, ভক্তি হলো অজ্ঞতার কন্যা➔ অজ্ঞান ও ভয় থেকে মানুষের মনে ভক্তির সৃষ্টি হয়।
  • অজ্ঞাতকুলশীলস্য বাসো দেয়ো ন কস্যচিৎ➔ কখনো অচেনা লোককে গৃহে স্থান দিতে নেই।
  • অজ্ঞানতা শ্রেষ্ট দারিদ্র- আরবী প্রবাদ➔ অজ্ঞানের সমস্ত জীবনটা বৃথা যায়; অজ্ঞান জীবনের স্বাদ পায় না।
  • অজ্ঞানবন্ধু থেকে জ্ঞানীশত্রু অনেক ভালো➔ বন্ধু হলেও অবোধের কাছ থেকে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে।
  • অজ্ঞানে বাপান্ত করে, জ্ঞানবানে তাই কি ধরে?➔ অজ্ঞরা কিছু দোষ করেই ফেলতে পারে; জ্ঞানীরা সেই অপরাধ ধরে না।
  • অজ্ঞানের কান দুটো ছোট ও জিভটা বড় হয়➔ অজ্ঞানেরা শোনে খুব কম কিন্তু কথা বলে বড় বেশি।
  • অজ্ঞানের কালে জানে না, অমানুষের কালে মানে না➔ শিশু বুঝতে পারে না বলেই দোষ করে; বয়স্কলোকেরা কিন্তু দোষকে অগ্রাহ্য করে।
  • অতলজলদলতলন্যস্তরত্নরাজিবনমহামুল্যপুরুষরত্ন- বঙ্কিমচন্দ্র➔ সাগরতলস্থিত রত্নরাজির সমান মহামুল্য পুরুষরত্ন (বহুবর্ণ সম্বলিত একটি শব্দের উগাহরণ)
  • অতি অস্পষ্ট কালির লেখাও উৎকৃষ্ট স্মরণশক্তি থেকে বেশি উজ্জ্বল- চীনা প্রবাদ➔ স্মৃতিশক্তি বড়ই দুর্বল; লেখা কিন্তু চিরস্থায়ী।
  • অতি আশ সর্বনাশ / অতি আশায় মরে চাষা / অতি আশা প্রবঞ্চনা করে- ইংরাজী প্রবাদ➔  বেশি লোভ করলে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে; সমতুল্য- 'অতি লোভে তাঁতি নষ্ট', 'খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে, কাল হল তার এঁড়ে/হেলে গরু কিনে', 'ছায়ার পিছনে ছোট আর আসল হারাও' ইত্যাদি।
  • অতিকথায় বার্তা নষ্ট➔ বাকচাতুর্যে মূলবক্তব্য হারিয়ে যায়।
  • অতি ক্ষুধা যার হাড় কাটা তার➔ বেশি খেলে শরীর নষ্ট হয়।
  • অতিগর্জনে ফোঁটা বৃষ্টি➔যে বেশি বকে সে কাজের হয় না; সমতুল্য- অতি মেঘে অনাবৃষ্টি/ফোঁটাবৃষ্টি।
  • অতিঘরন্তী না পায় ঘর➔ ভাগ্যদোষে অতি নিপুণা ঘরণীও সংসার পাততে পারে না।
  • অতি চতুরের ভাত নেই, অতি সুন্দরীর ভাতার নেই➔ বেশি চালাকের অন্ন জোটে না, বেশি সুন্দরীর বর জোটে না; ভাল নয় অতিশয়।
  • অতি চালাকের গলায় দড়ি➔ বেশি চালাকি করে অপরকে ঠকালে নিজেকেও বিপদগ্রস্ত হ'তে হয়।
  • অতি চালাকের গলায় দড়ি, অতি বোকার পায়ে বেড়ি➔ বেশি চালাক ও বেশি বোকা, উভয়ই বিপদে পড়ে; অতি ভাল ভাল নয়।
  • অতি চেনার কদর নেই➔ সহজলভ্য জিনিষের মূল্য নাই; সমতুল্য- গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
  • অতি জ্বালে ব্যঞ্জন নষ্ট➔ বেশি জ্বাল দিলে দ্রব্যগুণ নষ্ট হয়; কোন কিছুতেই বাড়াবাড়ি ভালো নয়।
  • অতিথি সর্বময় গুরুঃ/পূজ্যঃ➔ অতিথি গুরুর মতই পূজনীয়; সর্বদেবময়োহতিথি।
  • অতি দর্পে হতা লঙ্কা➔ অহংকার করলে পতন অনিবার্য; সমতুল্য- 'অত্যুচ্চায় পতনায়'; সর্বমত্যন্তমগর্হিতম।
  • অতি দানে বলির পাতালে হল ঠাঁই➔ অতিরিক্ত দান করতে গিয়ে বলি বামনের কাছে বন্দী হয়; সৎকাজে নিয়োজিত ব্যাক্তি অন্যের কৌশলে ভোগান্তির শিকার হয়; সুতরাং অতিশয় কিছু ভালো নয়।
  • অতি পীরিত যেখানে অতি বিচ্ছেদ সেখান➔ পীরিত বেশি হলে তাড়াতাড়ি বিচ্ছেদের আশঙ্কা থাকে।
  • অতি প্রেমে অমিত বিচ্ছেদ➔ যেখানে ভালোবাসার বাড়াবাড়ি সেখানে বিচ্ছেদবেদনাও তীব্র হয়।
  • অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর; অতি বড় সুন্দরী না পায় বর➔ বেশি বাছাবাছি করতে গিয়ে প্রায়শঃ ঘরকন্নার কাজে অতিশয় নিপুণা নারীর ঘরকন্নার সুযোগ জোটে না এবং অতি সুন্দরীর বর জোটে না। কোন বিষয়ে অনন্যসাধারণ হলে সবসময় তার জুড়ি পাওয়া যায় না।
  • অতি বড় সোদর (সহোদর ও সহোদরা) তিনদিন করবে আদর ➔ যত প্রীতিরই হোক না কেন অতি পাওয়ায় আদর ক্রমশঃ কমতে থাকে।
  • অতি বাড় বেড়ো না ঝড়েতে উড়াবে, অতিছোট হয়ো না ছাগলে মুড়োবে ➔ অহঙ্কার বেশি বেড়ে গেলে পতন হবেই; আবার বেশি বিনীত হলেও উপেক্ষিত হবেই; সুতরাং অতি বাড় ভাল নয়, মধ্যপন্থাই শ্রেষ্ঠপন্থা।
  • অতি পরিচয়ে দোষ ব্যক্ত  ➔ অন্তরঙ্গতায় লুকানো দোষ প্রকাশ হয়ে পড়ে।
  • অতি পরিচিতি উপেক্ষার জন্ম দেয ➔ কোন বিষয় বেশি পেলে তার প্রতি আকর্ষণ, আগ্রহ কমে (ক্রমহ্রাসমান উপযোগ বিধি)।
  • অতি বুদ্ধির হা-ভাত ➔ চালাকি করতে গিয়ে অস্থিরতার কারণে ভাত যোগাড় করতে ব্যর্থ হয়; ভাল নয় অতিশয়।
  • অতি মন্থনে বাসুকীর বিষ/বিষ ওঠে ➔বেশি ঘাটাঘাটি করলে দ্রব্যগুণ নষ্ট; অনেক সময় বারবার শোনা ভালকথাও মন্দ মনে হয়।
  • অতি মন্থনে বিষ ঊঠে / অতি মন্থনে মিঠা তিতা ➔ বেশি কচলালে লেবু তেতো হয়।


  • আঙুল ফুলে কলাগাছ ➔ সামান্য  অবস্থা থেকে বিপুল সম্পদের অধিকারি হওয়া, রাতারাতি বড় লোক হওয়া।
  • আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নেওয়া ➔ অধিকার চর্চা
  • আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো ➔ পুরাতন চাল ভাতে বাড়ে।
  • আপন ভালো পাগলেও বোঝে ➔ নিবোধ হলেও নিজের ভালো বুঝতে পারে।

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url