বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমা ব্যাখ্যা ২০২৩

Q&A Educational questions & Answer

বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত। বাংলাদেশ প্রথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ। বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ৭১১ কিলোমিটার। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমা।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর।

অথবা, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আলোচনা কর।

অথবা, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমা ব্যাখ্যা কর।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান

বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত। ২০°৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°৩৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১´ থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিস্তৃতি। বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে কর্কটক্রান্তি রেখ। বাংলাদেশের তিন দিকে স্থল এবং একদিকে জল দ্বারা বেষ্টিত। এর উত্তরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম। পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা রাজ্য ও মিজোরাম এবং মিয়ানমার, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ। বাংলার অবস্থান সম্পর্কে নীহাররঞ্চন বাংলা সনেট একদিকে উচ্চ পর্বত, দুই দিকে কঠিন শেলভূমি আর একনিকে বিস্তৃর্ণ সমুদ্র মাঝখানে সমভূমির সাম্য একটি বাঙালি ভৌগোলিক।

বাংলাদেশের আয়তন

বাংলাদেশের মোট আয়তনের মধ্যে নদ-নদী অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৯৩৮০ বর্গ কিলোমিটার। বনাঞ্চলের আয়তন ২২,৫৮৪ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল এবং অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল। বাংলাদেশের সীমারেখা ও বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা ৫১৩৮ কি.মি। এর মধ্যে বাংলাদেশ ভারত সীমারেখার দৈর্ঘ্য ৪১৪৪ কিলোমিটার। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমারেখা দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ৭১১ কিলোমিটার।

প্রান্তীয় অবস্থান

সমুদ্র হতে দূরত্ব এবং সমুদ্রের অবস্থান অনুসারে বিভিন্ন দেশের অবস্থান মহাদেশীয় প্রান্তীয়, উপদ্বীপীয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অবস্থান প্রান্তীয়। এরূপ অবস্থানের জন্য এর দক্ষিণে ভগ্ন উপকূলে সমুদ্র বন্দর গড়ে উঠেছে। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সুলভ জলপথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে গড়ে ওঠেছে।

ভূ-প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য

বিশ্বের যতগুলো ব-দ্বীপ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রথিবীর একক বৃহত্তম ব-দ্বীপ। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদী পশ্চিম-উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে একযোগে এ সুবিশাল ব-দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। সীমিত উচ্চভূমি ছাড়া সমগ্র দেশ এক বিস্তীর্ণ সমভূমি এদেশের ভূ-খণ্ড উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ক্রমশ ঢালু। ফলে প্রবাহিত সব নদ-নদী এবং এদের উপনদী-শাখা নদীগুলো উত্তরদিক হতে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে প্রবাহিত হয়েছে।

ভূমির পার্থক্য ও গঠনের দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় ।

  • ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
  • ৩. সাম্প্রতিক কালের প্লাবন সমভূমি
  • ২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url