সারাংশ ও সারমর্ম তালিকা সহ লেখার নিয়ম

সেসব রচনার দৃষ্টান্ত যুক্ত  অলঙ্কার উপমা ইত্যাদি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মূলভারকে সহজ-সরল ভাষায়  সংক্ষেপ লেখাকেই সারাংশ লিখন বা সারমর্ম বলে। সারাংশ ও সারমর্ম দুইটি আলাদা ভাবে আলোচনা করা হয়।

সারাংশ ও সারমর্ম

কবি ও সাহিত্যিকগণের রচনার উদ্দেশ্যই হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সুষ্ঠু ও যথাযথ বক্তব্য উপস্থাপন করা। কিন্তু যুগে যুগে সে সকল গুণীজনরা তাঁদের বিভিন্ন চিন্তাধারা ও মনোভাবকে দৃষ্টান্ত, যুক্তি, অপকার ও উপমার মাধ্যমে বড় আকারে প্রকাশ করেছেন। সেসব রচনার দৃষ্টান্ত, যুক্ত, অলঙ্কার, উপমা ইত্যাদি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মূলভারকে সহজ-সরল ভাষায়, সড়ক্ষপে লেখাকেই সারাংশ লিখন বলে। একে সারমর্ম বা সংক্ষিপ্তসারও বলে। সাধারণত গদ্যের ভাব-সংক্ষেপণ বুঝাতে সারাংশ ও পদ্যের ভাব-সংক্ষেপণ বুঝাতে সারমর্ম কথাটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সারাংশ ও সারমর্ম দুইটি আলাদা ভাবে আলোচনা করা হয়।

সারাংশ ও সারমর্ম তালিকা সহ লেখার নিয়ম Sarmormo-Sarangso
সারাংশ ও সারমর্ম

সারাংশ

সারাংশ ইংরেজি শব্দ হলো “Abstract” , সারাংশ বলতে বোঝায়, কোন দীর্ঘ রচনা যেমন, পর্য়ালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বিশ্লেষণী পত্র বা কোন বিষয় দীর্ঘ রচনার মূল বিষয়বস্ত সহজ সরল ভাষায় সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখা রচনাকে সারাংশ বলে। সারাংশ মূল রচনার শুরুতে বা শেষে লেখা হয়। সারাংশ শব্দের অর্থ ‘সার’ অংশ বা ‘মূল’ অংশ। নিচে কিছু সারাংশ তালিকা ও সারাংশ উদাহরণ দেওয়া হলঃ

সারাংশ তালিকা

সারাংশ এর বেশ কিছু তালিকা প্রদান করা হয়েছে এই ওয়েবেসাইটে । গুরুত্বপূর্ণ কিছু সারাংশ তালিকা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। দেখুন এখানে ক্লিক করে। নিচে কিছু সারাংশ তালিকা ও সারাংশ উদাহরণ দেওয়া হলঃ সারাংশ তালিকা

সারমর্ম

সারমর্ম অর্থৎ সংক্ষিপ্ত। বড় কোন কিছু লেখাকে সংক্ষিপ্ত সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সারমর্ম। সারমর্ম এর ইংরেজি শব্দ হল “Substance” । সারমর্ম দেখতে ছোট হলেও এর তাৎপর্য অনেক বেশি। সুন্দর, সহজ ও সাবলীল শব্দ ব্যবহার করে সারমর্ম উপস্থান করা হয়ে থাকে। নিচে কিছু সারমর্ম তালিকা ও সারমর্ম উদাহরণ দেওয়া হলঃ

সারমর্ম তালিকা

সারমর্ম এর বেশ কিছু তালিকা প্রদান করা হয়েছে এই ওয়েবেসাইটে । গুরুত্বপূর্ণ কিছু সারমর্ম তালিকা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। দেখুন এখানে ক্লিক করে। নিচে কিছু সারমর্ম তালিকা ও সারমর্ম উদাহরণ দেওয়া হলঃ

সারাংশ/সারমর্ম লেখার জন্য বিবেচ্য বিষয়

ম্যাশে সারমর্ম লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হলে নিয়মিত চর্চা করতে হয়। চর্চা যত বেশি হয় ততই শিক্ষার্থীর পক্ষে রচনার মূল ভাববস্তু উপাধির ক্ষমতা ও রচনা-নৈপুণ্য বৃদ্ধি পায়। একটি যথার্থ সারাংশ/সারমর্ম লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখা দরকার :

১.পঠন

সারাংশ বা সারমর্ম লিখতে সরাসরি অনুচ্ছেদের তথা বর্তনীয়, মূলভাব বুঝে নিয়ে তাকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে হয়। তাই প্রথমেই মূলভাব বোঝার জন্য রচনাটি মনোযোগ নিয়ে পড়তে হবে।

২.মুলতাৰ সন্ধান ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ চিহ্নিতকরণ

প্রদত্ত রচনাংশে সাধারণত একটি মূলভাব বা বক্তব্য থাকে। তবে কখনো কখনো একাধিক মুলতার বা বন্ধুবা থাকতে পারে। মূলভাব খুঁজে নেয়ার একটা ভালো উপায় হচ্ছে, যেসব বাকা বা বাক্যাংশ মূলভাবের দ্যোতক বলে মনে হয় সেগুলো চিহ্নিত করা।

৩. বাহুল বর্জন

অপ্রয়োজনীয় অংশ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ আলাদা করার মাধ্যমে সহজে মূলতার বের করা যায়। এজন্যে মূল রচনাংশে উদ্ধৃতি, বর্ণনা, সংলাপ, উদাহরণ, অলঙ্কার ইত্যাদি বান দিতে হয়।

৪. ভিন্নতর প্রসজ্যের অবতারণা না করা

সারাংশ বা সারমর্ম অবশ্যই মূল রচনার ভাব-ধারণার মধ্যে সীমিত থাকে। তাই মূলভাবের বাইরে জন্য কোনো এলক্ষ্যের অবতারণা করা যাবে না।

সারাংশ/সারমর্ম লেখার কৌশলসমূহ

সারাংশ বা সারমর্ম লেখার নানা কৌশল রয়েছে। যেমন-

অনুচ্ছেন : সারাংশ বা সারমর্ম একটি অনুচ্ছেদে লেখা উচিত।

প্রারম্ভিক বাক্য : প্রারম্ভিক বাকা যথাসম্ভব সাহত ও আকর্ষণীয় হওয়া চাই। এতে পাঠক বা পরীক্ষক শুরুতেই চমৎকৃত হন।

প্রসঙ্গ বাক্য : প্রসঙ্গ বাক্য সারাংশ/সারমর্মের প্রথমে থাকলে ভালো। তবে প্রয়োজনে মধ্যে কিংবা শেষেও থাকতে পারে।

প্রত্যক্ষ উক্তি : মূল আশে প্রত্যক্ষ উরি থাকলে তা পরোক্ষ উরিতে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে হয়।

পুরুষ: সারাংশ/সারমর্মে উত্তম পুরুষে (আমি, আমরা) বা মধ্যম পুরুষে (ভূমি, তোমরা) লেখা যাবে না। বক্তব্য বিষয় যথাস
নৈবত্ত্বিকভাবে লিখতে হয়।

উদ্ধৃতি: মূল অংশে কোনো উদ্ধৃতাংশ থাকলে সারমর্মে উদ্ধৃতিচিহ্ন বর্ণিত হবে এবং সংক্ষিপ্ত ও সংহতরূপে তা প্রকাশ করতে হবে।

ভাষা: সারাংশ বা সারমর্মের ভাষা সহজ-সরল ও সাবলীল হওয়া দরকার। তাই জটিল বাক্যের পরিবর্তে থাকা এবং হ শব্দের পরিবর্তে সহজ-সরল শব্দ ব্যবহার করা উচিত।

হুবহু উদ্ধৃতি বা অনুকৃতি: মূল অংশে কোনো অংশের হুবহু উদ্ধৃতি বা অনুকৃতি সারাংশ/সারমর্মে গ্রহণীয় নয়। যুগের কোনো অংশকে পাবনা পরিবর্তন করে লিখে দেওয়াও উচিত নয়।

খসড়া : সারাংশ বা সারমর্ম লেখার সময় প্রথমে প্রদত্ত রচনার মূল ভাবটুকুর আলোকে একটি প্রাথমিক খসড়া দাঁড় করানো ভালো। তারপর যুক্ত ও সুখ করে নিতে হয়।

পরিসর: সারাংশ/সারমর্ম কত বড় বা ছোট হবে তা নির্ভর করে প্রদর অংশে বর্ণিত বিষয়ের গুরুত্ব সাপোরমর্মমূলের সমান অর্ধেক, এক-তৃতীয়াংশ বা তার কমও হতে পারে।

No Comment
Add Comment
comment url