রচনাঃ নিয়মানুবর্তিতা (১০ পয়েন্ট) বাংলা রচনাঃ নিয়মানুবর্তিতা ও মানবজীবনে শৃঙ্খলাবোধ

রচনাঃ নিয়মানুবর্তিতা

“নিয়মানুবর্তিতা মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক গুণ। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত নিয়মানুবর্তিতার চর্চা জরুরি। রচনা সকল শ্রেণির জন্য দেওয়া হলো এসএসসি, এইচএসসি, জেডিএস, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণিন জন্য সহজ ভাবে লেখা হয়েছে। ” নিয়মানুবর্তিতা / নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ / মানবজীবনে শৃঙ্খলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা রচনাঃ নিয়মানুবর্তিতা ১৫ পয়েন্ট JSC SSC HSC

নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ

ভূমিকা

নিয়মানুবর্তিতা মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক গুণ। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত নিয়মানুবর্তিতার চর্চা জরুরি। নিয়মানুবর্তিতা তথা শৃঙ্খলা মানবজীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, উন্নতি ও সম্মানের নিয়ামক। নিয়ম বহির্ভূত যেকোনো আচরণ ও কাজই গর্হিত। তাই মহৎ ব্যক্তিগণ চিরদিন নিয়মানুবর্তী থেকে নিয়মানুবর্তিতার উদাহরণ সস্থাপন করে গেছেন।

নিয়মানুবর্তিতা কাকে বলে

নিয়মানুবর্তিতা বলতে বুঝায় যখন, যেভাবে যা হওয়া উচিত তা হওয়া এবং যা করা উচিত তা করা। প্রতিটি কাজ ও আচরণের একটি সমাজস্বীকৃত নিয়ম বা পদ্ধতি রয়েছে। এ পদ্ধতির অনুসরণ ব্যক্তি ও সমাজজীবনের জন্যে কল্যাণকর। নিয়মানুবর্তিতা বলতে বােঝায়, যেভাবে যা হওয়া উচিত তা হওয়া এবং যখন যা করা উচিত তা যথাযথভাবে করা।

অর্থাৎ কল্যাণের পথে থেকে ব্যক্তিপর্যায় হতে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত জীবন পরিচালনার সাধনাকে নিয়মানুবর্তিতা বা শৃঙ্খলাবােধ বলে। মানুষ সামাজিক জীব বিধায় সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। নিয়মের কারণেই মানুষ সমাজ সৃষ্টি করে একত্রে বসবাস করতে অভ্যস্ত হয়েছে। এ অতএব, নিয়ম মেনে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করাকেই নিয়মানুবর্তিতা বলা হয়। এ কল্যাণের পথে থেকে ব্যক্তিপর্যায় হতে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত জীবন পরিচালনার সাধনাকে নিয়মানুবর্তিতা বা শৃঙ্খলাবোধ বলে। বস্তুত ব্যক্তির কল্যাণে, জাতির কল্যাণে এবং দেশের কল্যাণে নিয়মানুবর্তিতা একান্ত প্রয়ােজন। কেননা নিয়মানুবর্তিতা শৃঙ্খলাবােধের জন্ম দেয় এবং মানুষকে কর্তব্য পালনে সচেতন করে তােলে। 

নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজনীয়তা

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সে সামাজিক জীবও বটে। সমাজকে সুখময় এবং নিরাপদ করার যার্থে মানুষই অসংখ্য নিয়মবিধির অবতারণা করেছে। এসব নিয়ম ও রীতি মেনে চললে মানুষের মঙ্গল বৈ অমঙ্গল হয় না। বরং অনেক মানুষ একসাথে অনিয়ম করলে সমাজকাঠামো ভেঙে পড়ে। এমনকি জাতীয় জীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয় এবং সর্বক্ষেত্রে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় । যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় উন্নতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। পৃথিবীর উন্নত সমাজের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো, সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার অনুশীলন চলছে। শৃঙ্খলাপূর্ণ ব্যক্তিগত জীবন সাধনার ফলশ্রুতিতেই বৃহত্তর পরিমণ্ডলে অর্থাৎ সমাজজীবনে সুখ- শান্তি ও উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে।

নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা ও মানবসমাজের উন্নতি

মানবসভ্যতার বর্তমান চরম বিকাশের মূলেও আছে মানুষের সুশৃঙ্খল ও সুসংহত কর্মোদ্যোগ। যেখানে শৃঙ্খলা নেই, সেখানে শ্রী নেই, কল্যাণ নেই, আনন্দ নেই, শান্তি নেই।সেই নিরানন্দ, কল্যাণ শ্রীহীন, সুষমাহীন অশান্ত অরাজকতায় ঘনিয়ে আসে মানবজীবনের অন্তিমলগ্ন। নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবদ্ধ, নিয়মানুবর্তী, সুসংহত সৈন্যবাহিনীই যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে পারে।তাই তো সুশৃঙ্খল জাতির ভাগ্যে জোটে সাফল্যের জয়টিকা এবং উচ্ছৃঙ্খল জাতির ভাগ্যে জোটে পরাজয়ের দুঃসহ গ্লানি।
আমাদের অর্থনৈতিক জীবনকেও সুষ্ঠুভাবে চালনার জন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাবোধ।পরিমিত ব্যয় এবং আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমতা না থাকলে শৃঙ্খলাবোধহীন বেহিসেবী মানুষ জীবনে নানা দুঃখ- দুর্দশার সম্মুখীন হয়।

প্রকৃতিতে নিয়মের রাজত্ব

প্রকৃতি-নিয়ন্তা আল্লাহপাক প্রকৃতিকে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালনা করছেন। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে স্রষ্টা প্রদত্ত এ নিয়মের কোনো প্রত্যয় তেমন লক্ষণীয় নয়। সৃষ্টির আদি থেকে চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করছে কিংবা নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে। নির্দিষ্ট নিয়মে দিবা-রাত্রির সংঘটন হচ্ছে। ঋতু পরিক্রমা, বৃক্ষকুলের ফুল-ফল দান, প্রাণিকূলের জীবনধারা প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মের রাজত্ব স্পষ্ট। প্রকৃতিতে চিরাচরিত নিয়মের সামান্য ব্যত্যয় হলে দেখা দেয় বিপর্যয় ও ধ্বংসযজ্ঞ। অসীম সমুদ্রমুখে নদনদী বহমান। মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীতে বস্তুজগৎ ধরে রাখছে। আবহাওয়ামণ্ডল পৃথিবীতে প্রাণ ধারণকে নিশ্চিত করছে। এ সবকিছু প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের ধারাকেই প্রবহমান রেখেছে। এক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গের কোনো উদাহরণ বিশ্বকেও ধ্বংসমুখি করে তুলবে। তাই শৃঙ্খল ও নিয়ম সচেতন ক্ষুদ্র পিপীলিকাও বলে চলে-

“গীতের সঞ্জয় চাই,
খাদ্য খুঁজিতেছি তাই, ছয় পায়ে পিলপিল চলি।"

ব্যক্তিগত জীবনে নিয়মানুবর্তিতা

প্রতিটি মানুষই জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চায়। কিন্তু এ সাফল্য তখনই ধরা দেয় যখন মানুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মের অনুশাসনকে মেনে চলে। শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনাচরণ ও কর্মসাধনার মধ্য দিয়েই ব্যক্তিগত জীবনের উৎকর্ষ সাধিত হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠা, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদন, নিয়মতান্ত্রিক আহার, বিশ্রাম এবং ঘুমাতে যাওয়া একজন মানুষের জীবনকে সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল করে তোলে। 'পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা' এটি ছাত্রদের জন্যে আপ্ত বাক্য হলেও এতে প্রতিটি মানুষের নিয়মানুবর্তিতার প্রতি আহ্বান রয়েছে।

একজন মানুষ যদি সকালবেলা বিলম্বে ঘুম থেকে জাগরিত হয় তাহলে তার সারাদিনের কর্মপরিধিই উলট-পালট হয়ে যায় এবং দিন শেষে কাজের জট পাকিয়ে যায়। ব্যক্তিজীবনের নিয়ন্ত্রণে সমাজ যে সমস্ত রীতির প্রচলন করেছে এবং রাষ্ট্র যেসব বিধিবিধানকে আইন বলে স্বীকৃতি দিয়েছে সেগুলোর নিয়মসিদ্ধ প্রতিপালন একজন বাক্তিকে সুনাগরিক হিসেবে মর্যাদা দেয়। এক কথায় ব্যক্তিগত জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত ও সুশৃঙ্খল করার মধ্য দিয়ে সার্থক জন্মের পর্ব লাভের একটিই পথ, তা হলো নিয়মানুবর্তিতার চর্চা।

বয়স অনুযায়ী নিয়মানুবর্তিতা

ছয় মাস বয়স থেকেই নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর কাজ শুরু হয়। যখন থেকে সে খামচি দেয় বা চুল টেনে ধরে তখন বলতে হয়, 'না সোনা, এমনটা করলে ব্যথা লাগে'। যদিও সে আপনার বলা শব্দগুলো সম্পূর্ণ বোঝে না, তবুও আপনার অসম্মতিসূচক মুখভঙ্গির মাধ্যমে সে বুঝতে পারবে কোন কাজটি করা ঠিক নয়। স্কুলে যাওয়ার বয়সের কিছু আগে থেকে শিশুরা আরো ভালো করে বুঝতে পারে কোন কাজটি করা ঠিক ও কোনটি ঠিক নয়। এভাবে ১৮-২০ বছর পর্যন্ত প্রতিদিনই নিয়মানুবর্তিতার প্রশিক্ষণ দিতে হয়। বয়স অনুযায়ী নিয়মানুবর্তিতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালের প্রথম দিন থেকে নিয়মশৃঙ্খলাগুলো বারবার মনে করিয়ে দিতে হয়। যেহেতু শিশু-কিশোর বয়সটা তাদের নিয়মানুবর্তিতার প্রশিক্ষণপর্ব, তাই প্রথম দিকে তাদের কিছুটা ভুল হতেই পারে। বাবা-মাকে বিষয়টি বুঝতে হবে এবং ধৈর্য ধরে তাদের সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কম বয়সী শিশুদের মনোযোগসীমা কম থাকার কারণে তারা বারবার নিয়মগুলো ভুলে যায়। শুধু তাই নয়, এ সময় তাদের বিচার-বিবেচনাবোধ খুবই কম থাকে। তাই এ সময় তাদের বারবার নিয়মগুলো মনে করিয়ে দিতে হয়। উল্টো দিকে টিনএজে মনে করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাকেই প্রশ্ন করার মাধ্যমে শেখাতে হয়। এ সময় তাকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব দিতে হয় ও তা পালন করতে শেখাতে হয়। টিনএজদের বারবার মনে করিয়ে দিলে তারা বিরক্ত হয়। কারণ তারা মনে করে তারা বেশ বড় হয়েছে এবং ভালো-মন্দ বুঝতে শিখেছে।

ছাত্রজীবনে নিয়মানুবর্তিতা

ছাত্রজীবন ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তিভূমি। ছাত্রজীবনের শ্রম-সাধনা ও অধ্যবসায় সফল কর্মজীবনকে নিশ্চিত নিয়মতান্ত্রিক কাজের মধ্য দিয়েই কেবল সফল শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হতে পারে। আর শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি কৃতিত্বপূর্ণ হলে কর্মক্ষেত্রে করতে পারে। নিয়মিত পড়ালেখা করা, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি, পাঠ্যবিষয় বহির্ভূত কর্মকাণ্ড, জীবনাচরণের শিক্ষা, সময়ের সদ্ব্যবহার প্রভৃতি অবারিত সুযোগ হাতছানি দিতে থাকে। একজন দায়িত্বশীল ও ভালো মানুষ দ্বারা সমাজ ও জাতির কল্যাণসাধন সহজতর হয়। জীবনে অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং শৃঙ্খলাহীনতা শিক্ষাজীবনকে ধ্বংস করে। এছাড়াও সন্ত্রাস, মাদকাসক্তি, অপরাজনীতির মতো অনামাজিক কর্মকাণ্ডে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা সহজেই জড়িয়ে পড়ে। তারা শুধু নিজেদের জীবনেরই ধ্বংস ডেকে আনে না বরং পরিবার, সমাজ * জাতিকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। তাই ছাত্রজীবনে নিয়মানুবর্তিতার চর্চা করে পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা- এ আন্ত কাকাকে জীবন সাধনার মূল সুর হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রজীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা অক্ষরে বিনষ্ট হবে।

মানুবর্তিতার অভাব ব্যক্তিজীবনকে ব্যর্থ ও হতাশাময় করে। সমাজজীবনকে করে বিশৃঙ্খল  ও অগ্রগতিকে করে বাধাগ্রস্ত। পৃথিবীর উন্নত জাতিসমূহের দিকে তাকালে দেখা জারা নিয়মনিষ্ঠ এবং সুশৃঙ্খল জীবনাচরণে অভ্যস্ত। উন্নত বিশ্বে গভীর রাতে জনমানবহীন রাস্তায়ও কোনো গাড়ি চালককে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করতে দেখা যায় না। জাতীয় জীবনে এ নিয়মানুবর্তিতার আদর্শই তাদের উন্নতির ভিত রচনা করেছে। মনীষী অশ্বিনী কুমার বলেছেন, “গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত ছয় ঋতু নির্দিষ্ট চক্রে ঘুরিতেছে। অগ্নি নির্দিষ্ট নিয়মে সারিত হইতেছে। বাবু

নির্দিষ্ট নিয়মে বহিতেছে। মেঘ নির্দিষ্ট নিয়মে সারিত হইতেছে। ইহা চিন্তা করিলে নির্দিষ্ট নিয়ম ত্যাগ করিয়া কর্মধারয়হীন তরুণীর ন্যায় কে আপনার জীবনকে উচ্ছৃঙ্খল করিবে?" শৃঙ্খলাহীনতার পরিণাম কি হতে পারে তা উহুদ যুদ্ধের দুঃখজনক পরিণতির কথা ভাবলেই আমরা সহজে বুঝতে পারি।

উপসংহার

নিয়ম-শৃঙ্খলা জীবনে সর্বময় সাফল্যের মূল কথা। আমরা যদি জীবনে সফলকাম হতে চাই তাহলে সর্বক্ষেত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলার চর্চা করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্রজীবনে নিয়মানুবর্তিতার চর্চা করা অবশ্য কর্তব্য। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে জাতীয় জীবনের সর্বত্র আমাদের সুষ্ঠু শৃঙ্খলাবোধের পরিচয় দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সুসভ্য ও উন্নত জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব না।


কৌণিক বার্তা.কম কে সাহায্য করোঃ
রচনাটি সম্পূর্ণ করার জন্য কিছু পয়েন্ট প্রয়োজন। আপনি চাইলে কিছু পয়েন্ট দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন। নতুন রচনা লিখে দিতে চাইলে দিতে পারবেন, ধন্যবাদ।


বাংলা রচনার সম্পূর্ণ তালিকা


আপনি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন 200 সেকেন্ড পর


বাংলা প্রবন্ধ রচনা তালিকা


সবগুলো #

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url