রমজানে সেহরিতে যে খাবারগুলো কখনোই খাবেন না

বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্মে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। সাধারণত গরমের সময় খাবারজনিত বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে আমাদের। তাই খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হয়। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এই সময় এমন খাবার খাওয়া যাবে না যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে থাকে। তাই গ্রীষ্মের এই রমজানে সাহরিতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

সেহরিতে খাওয়ার পর সারাদিন না খেয়ে সংযমের সঙ্গে ইবাদত করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ জন্য সাহরিতে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সারাদিন শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখবে। এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক, সেহরিতে কোন খাবারগুলো কখনোই খাওয়া উচিত নয়-

রমজানে সেহরিতে যে খাবারগুলো কখনোই খাবেন না

নোনতা খাবার

অতিরিক্ত লবণ খেলে তা রোজার সময় ডিহাইড্রেশন এবং তৃষ্ণার কারণ হতে পারে। নোনতা খাবার যেমন আলুর চিপস, লবণাক্ত বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত মাংস সাহরির সময় এড়িয়ে চলুন। অন্যান্য সময়েও এ ধরনের খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

ক্যাফেইন ড্রিংকস

চা, কফি ইত্যাদি পানীয় থেকে বিরত থাকুন। ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় সাময়িক সময়ের জন্য তৃষ্ণা মেটালেও এটি গ্রীষ্মের এই সময়ে তৃষ্ণা ও শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিবে। এতে দিনের বেলায় গলা শুকিয়ে আসবে বারবার।

ভারী ও অধিক খাবার

অনেকে সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে এই ভেবে সাহরিতে অনেক বেশি খাবার খেয়ে থাকেন। এটি কখনোই উচিত নয়। এতে পাকস্থলীর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি হজমজনিত সমস্যা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত মসলাদার খাবার

যদিও মসলা খাবারে স্বাদ যোগ করে কিন্তু অত্যাধিক মসলাদার খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালার কারণ হতে পারে। এটি বুকে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সাহরিতে খাওয়া হয়। তাই সাহরির খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।

চিনিযুক্ত পানীয়

ফলের রস, কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের মতো মিষ্টি পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সাহরিতে এ ধরনের পানীয় পান করলে আপনি সারাদিন অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। এতে রোজা থাকা কষ্টকর হবে। তাই সাহরিতে চিনিযুক্ত পানীয় খাবেন না।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার

স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাংস, ক্রিমি সস এবং ভাজা খাবার হজম হতে বেশি সময় নিতে পারে। এ ধরনের খাবার রোজার সময় অস্বস্তি এবং পেট ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই সাহরিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url