রমজান মাসে ডায়কবেটিস রোগীদের খবার তালিকা

বিজ্ঞাপন

দেখতে না দেখতে চলে এলো রহমতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এ মাসটি একটি ফজুলত পূর্ণ মাস। এই মাসে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকে সিয়াম বা রোজা করার জন্য।

সাধারণ নির্দেশনা

ডায়াবেটিস থাকা ব্যক্তিরাও রোজা রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে এ মাসে কি ভাবে ওষুধ খাবেন সেই সম্বন্ধে ডাক্তারের কাছে জেনে নিতে হবে। খাবারের পরিমাণ অন্য খাবারের মতোই থাকবে এবং তিন বেলাতেই খেতে হবে। তবে ‘হাইপো’ লক্ষণ অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজ লেভেল হঠাৎ করে কমে গেলে খাবার খেতে হবে। এ মাসে তেমন আলাদা করে ব্যায়াম করার দরকার নেই, বিকেলে বিশ্রামে থাকা ভালো। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস রোগীদের সেহরিতে যা খাবেন

১) ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি, ফল

২) আটার রুটি-পাউরুটি, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি, ফল

উপরের যেকোনো একটি খাবেন। খাবারের পরিমাণ অন্য সময়ের দুপুরের খাবারের মতো।

ডায়াবেটিস রোগীদের ইফতারে যা খাবেন

১) ইফতারে যেকোনো একটি পানীয় বা শরবত রাখা জরুরি। আনারস, তরমুজ, জাম্বুরা, জাম, কমলা অথবা কোনও রসালো ফলের রস অর্ধেক গ্লাস, সাথে অর্ধেক গ্লাস পানি ও এক চামচ লেবুর রস মেশাতে হবে। মিষ্টি স্বাদের জন্য স্যাকারিন বা এসপারচেম মেশানো যায়। এছাড়া পানীয়ের তালিকায় আরও থাকতে পারে চিনিবিহীন দই দিয়ে বানানো লাচ্ছি, মিল্ক শেক অথবা কচি ডাবের পানি।

২) ইফতারে ফল থাকতেই হবে। খেজুর ২-৩টা, মিষ্টি ফল যেকোনো একটি। মিষ্টি ফলের মধ্যে থাকতে পারে একটা কলা, আপেল, কমলা, মোসাম্বি অথবা ছয়টা লিচু, আতা ফল একটা, কাঁঠাল তিন কোয়া, পাকা পেঁপে ৬০ গ্রাম, নারকেল ২-৪টা চামচ, বেদানা অর্ধেক, পাকা বেল অর্ধেকটা, আনারস ৬০ গ্রাম, আঙ্গুর তিনটা, তাল এক কাপ।

৩) শসা, খিড়া, গাজর, কাঁচা পেয়ারা- ইচ্ছামতো

৪) ইফতারে ভারি খাবারের মধ্যে থাকতে পারে

ক) বুট-ভুনা আধা থেকে এক কাপ, মুড়ি- দুই-তিন কাপ, পিঁয়াজু দুই/তিনটা, বেগুনি-দুই/তিনটা, হালিম

অথবা

খ) ভেজা চিড়া- দুই কাপ, কলা- ১টা, দই- এক কাপ

অথবা

গ) পরোটা/পুরি, মাংস, ডাল, হালিম

অথবা

ঘ) ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, শাকসবজি

উপরের যেকোনো একটি খাওয়া যেতে পারে। খাবারের পরিমাণ হতে হবে অন্য সময়ের রাতের খাবারের মতো।

ডায়াবেটিস রোগীদের রাতে যা খাবেন

১) ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি

অথবা

২) আটার রুটি, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি

উপরের যেকোনো একটি খেতে হবে। রাতের খাবারের পরিমাণ হবে অন্যান্য দিনের সকালের নাস্তার মতো।

খাবারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা

• ইফতার, রাতের খাবার এবং সেহরি- এই তিন বেলাই খেতে হবে।
• সেহরির শেষ সময়ের অল্পক্ষণ আগে খেতে হবে।
•  ডায়াবেটিস আক্রান্তদের অল্প পরিমাণ খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়। তাই পরিপূর্ণ খাবার খেতে হবে।

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।