ভাবসম্প্রসারণ : কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহীতে
জীবন চলার পথে বাধা বিঘ্নকে ভয় করে পিছিয়ে পড়লে জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় না। জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করতে হলে সকল দুঃখ-কষ্ট, বাধা-বিঘ্ন জয় করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ কষ্টের মাধ্যমে অর্জিত সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহীতে
মূলভাব:
সুখের ভিত্তি হলো দুঃখ। দুঃখের কণ্টক-পথ পেরিয়েই সুখের কুসুমাস্তীর্ণ পথে উঠতে হয়।
সম্প্রসারিত ভাব:
জীবনে সাফল্য লাভই মানুষের চরম চাওয়া। কিন্তু সাফল্য এমনিতেই আসে না। শ্রম ও সাধনাই সাফল্যের পূর্বশর্ত। নিশ্চুপভাবে বসে থাকলে কোনো কাজে সিদ্ধিলাভ করা যায় না। সিদ্ধিলাভ করতে হলে চাই কঠোর সাধনা। ফুলের সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে। গোলাপ কিংবা পদ্মফুল তুলে তার সান্নিধ্য লাভ করতে চাইলেও তা সহজে সম্ভব হয় না। কেননা অপূর্ব সুন্দর এসব ফুল কণ্টকময়। কাঁটার আঘাতের ভয় করলে কেউ ফুল সংগ্রহ করতে পারবে না। দীর্ঘ পথ ভ্রমণের ক্লান্তির ভয়ে পথিক যদি ভীত হয়, তবে তার পক্ষে স্বীয় গন্তব্যস্থলে পৌছা অসম্ভব। মানুষ এ সংসারে সুখ-দুঃখের বাঁধনে আবদ্ধ। এরা পর্যায়ক্রমে মানবজীবনে আবির্ভূত হয়ে থাকে। নিরবচ্ছিন্ন সুখ বা দুঃখ কারও ভাগ্যে জোটে না। দুঃখকে অতিক্রম করতে পারলেই সুখের সন্ধান মিলে। যাঁরা এ জগতের স্মরণীয় ও বরণীয় তাঁদেরকে সইতে হয়েছে অনেক দুঃখ-কষ্ট, অতিক্রম করতে হয়েছে নানা বাধা-বিপত্তি। সুখলাভের সাধনাই হচ্ছে সিদ্ধিলাভের সাধনা। পৃথিবীর ইতিহাসে মহৎ ব্যক্তিদের জীবন দুঃখদীর্ণ। দুঃখকে উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন বলেই তাঁরা মহৎ হতে পেরেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যথার্থই বলেছেন- “ব্যর্থতাই মানুষের জীবনের প্রথম সাফল্য।”
মন্তব্য : দুঃখ যত অপ্রত্যাশিতই হোক তাকে আমাদের সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। দুঃখকে সুখের উৎস হিসেবে গ্রহণ করাই শ্রেয়।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজেঃ-
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।