মহান বিজয় দিবস - অনুচ্ছেদ | Victory Day Onucched

মহান বিজয় দিবস - অনুচ্ছেদ | Victory Day Onucched class 5 6 7 8 9

বিজয় দিবস বাংলাদেশ এর বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করা হয়। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন।

বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ মহান বিজয় দিবস
শ্রেণিঃ Class 3 4 5 6 7 8 9 SSC HSC JSC

মহান বিজয় দিবস


হান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। বিজয় দিবস বাংলাদেশ এর বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করা হয়। বাংলাদেশ প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটি বাংলাদেশ জাতীয় বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এবং এই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধের ৯ মাস পর ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করেন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনে চলচ্চিত্র, কবিতা, নিবন্ধ, গণমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্নভাবে এই বিজয় দিবসের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়ে থাকে। এই দিন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

ভাষা এই আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসের মধ্য দিয়ে বাঙালির ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে। পরে দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলে পাকিস্তানি স্বৈরাচারী জঙ্গিবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম। এ পটভূমিতেই ১৯৭১-এর ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন স্বাধীনয়। পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বীর বাঙালি। শুরু হয় এ দেশে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা—মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চল মুক্তিসেনাদের সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। যুদ্ধে প্রায় ত্রিশ লক্ষ বাঙালি জীবন বিসর্জন দেয়। অবশেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালির বিজয় সৃষ্টি হয়। এই দিনে ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দি উদ্যানে) ঘটে ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় ঘটনা—পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মাথা নিচু করে অস্ত্র মাটিতে ফেলে আত্মসমর্পণ করে আমাদের বীর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে।

৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। অনেক অশ্রু বিসর্জনে পাওয়া এ স্বাধীনতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। প্রজন্মের প প্রজন্ম বয়ে নিয়ে চলেছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পতাকা, গাইছে বিজয়ের গৌরবগাথা। তাই বিজয় দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিবছর এই দিন পালনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মকে এবং বিশ্বকে বারবার মনে করিয়ে দিই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, বীর শহিদদের কথা। আমরা অনুপ্রাণিত হই আমাদের দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা স্মরণ করে। বাঙালি জাতি ৯ মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এই মহান বিজয় দিবস পাওয়া জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে। ১৬ই ডিসেম্বর চির প্রদীপ্ত একটি মহিমান্বিত দিন। আমলে জাতীয় জীবনে এ দিনটি অবিস্মরণীয় প্রভাব বিস্তার করে আছে। শহিদের মহান আত্মত্যাগের এই দিনটি যেমন তাৎপর্যপূর্ণ তেমনি দিনটি সত্য ও ন্যায়ের পথে মাথা তুলে দাঁড়াবারও। এটি আমাদের চেতনার জাগরণের দিন। তাই এ দিনটিকে আমরা সগর্বে স্মরণ করব।


এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url