সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ - অনুবাদ ইংরেজি অর্থ ফযিলত | Surah An-Nas

সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ - অনুবাদ ইংরেজি অর্থ ফযিলত | Surah An-Nas

সূরা আন নাস , পবিত্র আল কুরআন এর ১১৪ তম ও সর্বশেষ সূরা আন নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা আন নাস শব্দের অর্থ “মানবজাতি” সূরা আন নাস নামকরণ, শানে নুযূল, আয়াতসমূহ, ফজিলত | Surah An-Nas Bangla

সূরা আন নাস , পবিত্র আল কুরআন এর ১১৪ তম ও সর্বশেষ সূরা। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৬ এবং রূকু সংখ্যা ১ টি । সূরা আন নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা আন নাস এর আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে বা শয়তানের হাত হতে সুরক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। এবং কি ভাবে দোয়া করবে সেইটা শিক্ষা দিয়েছে মহান আল্লাহ। সূরা আন নাস ও সূরা আল ফালাকক এই দুটি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া। সূরা আন নাস অসুস্থ বা ঘুমের আগে পড়া সুন্নত। সূরা আন নাস নিচে আয়াতসমূহ অর্থ ও উচ্চারণ এবং ইংরেজী অনুবাদ দেওয়া হয়েছে। [১]

শানে নুযূল

সূরা আন নাস এবং সূরা ফালাক একই সাথে অবতীর্ণ হয়েছিল । হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ এর উপর জাদু করেন যার ফলে দিশেহারা হয়ে যেত এবং যে কাজ হযরত মুহাম্মদ (স.) করেননি তাও সেই কাজ করেছেন বলে অনুভব হতেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) হযরত আয়েশা কে এই রোগটা কি? মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (স.) কে স্বপ্নে দেখিয়েছে যে তিনাকে জাদু করেছে। জাদুটি করেছেন ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আসাম। জাুদ করেন চিরুণীতে এবং তা লুকিয়ে রাখে বির যরোয়ান কূপে একটি পাথরে নিচে। সেই জাদু থেকে মুক্তি পেতে সূরা আন নাস নাজিল করে। জনৈক ইহুদী জাদু করেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন । এই জাদু থেকে মুক্তি পেতে সূরা আন নাস ও সূরা ফালাক দুটি পড়ে ফুক দেওয়া সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। [১]

নামকরণ

সূরা দুইটি নাযিল হয়েছে একই ঘটনার প্রেক্ষিতে একই সাথে। সূরা আন নাস শব্দের অর্থ “মানবজাতি” এবং অন্য নাম “মানুষ” সূরা আন নাস ও সূরা আল-ফালাক দুইটি একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” নামে ডাকা হয়। “মু’আওবিযাতাইন” অর্থ আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার সূরা।[১]

আয়াতসমূহ ও অর্থ, উচ্চারণ 

۝‎‎ بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

অনুবাদ : পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।

ইরেজি : In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful.

قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ ۝‎

উচ্চারণ : ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।

অনুবাদ : বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার

ইংরেজি : Say, I seek refuge in the Lord of mankind.

مَلِكِ ٱلنَّاسِ ۝‎

উচ্চারণ : মালিকিন্নাস।

অনুবাদ : মানুষের অধিপতির।

ইংরেজি : Lord of the people.

إِلَـٰهِ ٱلنَّاسِ ۝‎

উচ্চারণ : ইলাহিন্নাস।

অনুবাদ : মানুষের মা'বুদের।

ইংরেজি The God of men. 

مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ۝‎

উচ্চারণ : মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।

অনুবাদ : তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে।

ইংরেজি : From his evil, who gives bad advice and conceals himself.

الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ۝‎

উচ্চারণ : আল্লাযি ইউওয়াস ইসু ফী সুদুরিন্নাস।

অনুবাদ : যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে।

ইংরেজি : That gives bad advice to people's hearts.

مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ ۝ ‎‎

উচ্চারণ : মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।[১]

অনুবাদ : জ্বিনের  অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

ইংরেজি : From among jinn or humans.[৩]

ফজিলত

➤ সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) - এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন :

অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তা’আলা আমার প্রতি এমন আয়াতা নাযিল করেছেন , যার সমতু্ল্য আয়াত দেখা না। কোরআনে , তও রাত , ইঞ্জীল, যাবুরেও অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই ।

➤ রসূলুল্লাহ (সাঃ) ওকবা ইবনে আমেন (রাঃ) - কে সূরা আন নাস ও সূরা আল ফালাক পাঠ করেন এবং মাগরিবের নামে সূরা দিয়ে তেলাওয়াত করেন। আর বলেনে এই সূরা দু’টি ঘুম যাওয়ার সময় এবং ঘুম থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো।[২]

➤ আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ

যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)[২]

তথ্যসূত্র

১. উইকিপিডিয়া [সূরা ফাতিহা]

২. হ য ব র ল.কম [সূরা ফাতিহা]

৩. গুগল ট্রান্সলেট ইংরেজী ভাষা [সূরা ফাতিহা]


পবিত্র আল কুরআনের সম্পূর্ণ সূরার তালিকা

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url