IPV6 কী এর সুবিধা নিরাপত্তা আইপিভি৬ কী

IPV6 হচ্ছে ইন্টারনেট প্রোটোকল সর্বশেষ সংস্করণ, ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রোটোকল, যা নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলোকে সনাক্ত ও সে সবের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে এবং ইন্টারনেট জুড়ে ট্র্যাফিক রাউটিং করে।

IPV6 কী এর সুবিধা নিরাপত্তা কীInternet Protocol Version 6
IPV6

IPV6 কী

IPV6 হচ্ছে ইন্টারনেট প্রোটোকল। IPV6 মানে Internet Protocol Version 6 ( ইন্টারনেট প্রোটোকল সংস্করণ ৬ ) । যা ইন্টারনেট প্রোটোকল Internet Protocol (IP) এর সর্বশেষ সংস্করণ, ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রোটোকল, যা নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলোকে সনাক্ত ও সে সবের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে এবং ইন্টারনেট জুড়ে ট্র্যাফিক রাউটিং করে। ইন্টারনেটে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসকে সনাক্তকরণ এবং তার অবস্থান নির্ণয়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয়ভাবে একটি অনন্য IP অ্যাড্রেস বরাদ্দ করা হয়।

মূলত, বিদ্যমান IPV4 এর অ্যাড্রেস সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের সমস্যা মোকাবিলার জন্য Internet Engineering Task Force (IETF) IPV6 ডিজাইন ও উদ্ভাবন করে। অর্থাৎ, IPV4 প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যেই IPV6 উদ্ভাবন করা হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে IPV6 একটি খসড়া সংস্করণ হিসেবে দাড়ায়, IPV6 যা পরবর্তীতে ১৪ জুলাই ২০১৭ তারিখে ইন্টারনেট প্রোটোকল হিসাবে চূড়ান্তভাবে IETF কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

উল্লেখ্য, IPV4 হলো ৩২ বিটের প্রথম প্রজন্মের ইন্টারনেট প্রটোকল, যার মাধ্যমে মাত্র ৪৩০ কোটি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু এই অপ্রতুল ৩২ বিট দিয়ে বিশ্বব্যাপী বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের আইপি অ্যাড্রেসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ কারণেই নতুন ধরনের একটি নেটওয়ার্ক লেয়ারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। IPV6 এ্যাড্রেস ১২৮ বিটের। IPV6 হলো সেই নতুন ধরনের ১২৮ বিটের অ্যাড্রেস লেয়ার প্রটোকল, যা ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন (3.4 x 1038) নেটওয়ার্ক ডিভাইসের প্রতিটিকে স্বতন্ত্রভাবে সনাক্ত করে ও পরিচয় করিয়ে দেয়।

IPV6 নিরাপত্তা

IPV6 ব্যবহার থেকে বেশ কয়েকটি সুরক্ষা আছে। শ্যাডো নেটওয়ার্কগুলিতে আইপিভি ৬ ব্যবহার এর নিরাপত্তা আছে। যে কোম্পানিগুলো সফ্টওয়্যার তৈরি করে তাদের দ্বারা আইভিভি নোড সংয়োজনের ফলে নেটওয়াকের অসাবধানতা সৃষ্টি হতে পারে। অপারেটিং সিস্টেমে  আইপিভি ৬ সুরক্ষার অবকাঠামো হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে IPV6 ট্র্যাফিককে বাইপাস করে নিয়ে যেতে পারে।

IPV6 সুবিধা

বিশ্বসে মোবাইল ফোন , নোটবুক, কম্পিউটার এবং ওয়্যারলেস ডিভাইস এর ব্যবহার দিন দিন ব্যাপক হচ্ছে এবং নতুন IP অ্যাড্রেস এর চাহিদা বাড়িছে। বর্তমনে যে IPV4 ব্যবহার হচ্ছে তার ধারণ ক্ষমতা কম হচ্ছে এর ফলে ব্যবহার কার অনেক সমস্যা হতে পারে। IPV6 এর ব্যবহারে অনেক সুবিধা আছে। এর ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি । IPV6 এর সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

একই সাথে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন সংখ্যক ডিভাইসে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য মূলত IPV6 ডিজাইন ও উদ্ভাবন করা হয়েছে। তাছাড়া, IPV6-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। IPV6 কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সেবা প্রদান করে, যার ফলে নিরাপত্তাভেদ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সাথে IPV6 যেহেতু নির্দিষ্ট ডিভাইসের ম্যাক নিয়ে কাজ করে, সেহেতু এতে IPV4-এর তুলনায় সিং করার সময় অনেক কমে আসে। মোট কথা IPV6 মার্চ, মার্চ বেটার Wi-Fi এক্সপেরিয়েন্স এবং এটি ছাড়া ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না।

IPV6 এর অনত্যম প্রধান সুবিধা হচ্ছে বড় আকারের IP অ্যাড্রেস। যা IPV4 এর চাইতে অনেক সুবিধা জনক। আইপিভি ৬ দ্বারা অনেক নতুন ডিভাইস ব্যবহার করার সুয়োগ পাবে। IPV4 ৩২ বিট অ্যাড্রেস যা বর্তমান বিশ্বে ডিভাইস ব্যবহার করার দিক দিয়ে অকেন কম, আর IPV6 ১২৮ বিট অ্যাড্রেস। IPV6 আইপি টেলিফোন, ভিডিও , অডিও , ইন্টারেক্টিভ গেম  এর মত ইন্টারনেট এবং অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন এর উন্নত মানের সেবা প্রদান করে থাকে। এই গুলো বাদ দিয়েও IPV6 এর অন্যান্য সুবিধাও আছে। যেমন:-

  • Auto Configuration
  • গতিশীলতা বা Mobility এবং
  • Extensibility

IPV6 অ্যাড্রেস গঠন ও উদাহরণ

IPV6 হচ্ছে ১২৮ বিট এর অ্যাড্রেসিং পদ্ধতি। যা IPV4 এর চাইতে অনেক বেশি। IPV6 দেখা য়ায় বা হয় ৪টি হেক্সাডেসিম্যাল সংখ্যার ৮টি গ্রুপ এবং প্রতিটি গ্রুপ আলাদা করা হয় কোলন চিহ্ন (:) দিয়ে। নিচে IPV6 অ্যাড্রেস গঠন এর উদাহরণ দেওয়া হলো।

উদাহারণঃ -

2003:0bd8:oooo:4200:oooo:5a3e:3764:4332

IPv6 address IPV6 অ্যাড্রেস গঠন ও উদাহরণ
IPV6 অ্যাড্রেস গঠন ও উদাহরণ

IPV6 Support সফ্টওয়্যার

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কিছু বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো তাদের অপারেটিং সিস্টেম IPV6 সমর্থিত করে। ১৯৯৭ সালে প্রথম বাণিজিক ভাবে IBM তাদের AIX 4.3 অপারেটিং সিস্টেমে IPV6 ব্যাবহার করে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ (Microsoft Windows) অপারেটিং সিস্টেম এর আধুনিক সংস্করণগুলো, উইন্ডোজ ভিস্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই IPV6 সমর্থন বা support করে।



এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url