ভাবসম্প্রসারণ : ভোগে সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ | ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ভাব-সম্প্রসারন

ভোগে সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ অথবা ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ

ত্যাগই মানবজীবনের মহৎ আদর্শ। ভোগের সাময়িক সুখানুভূতি ত্যাগের আনন্দের সাথে তুলনীয় নয়। ত্যাগের মধ্য দিয়েই মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধিত হয়। ভোগ বিলাসিতায় প্রকৃতি সুখ পাওয়া যায় না। ভোগে সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ অথবা ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ

  ভোগে সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ অথবা ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ

ভাবসম্প্রসারণ  ভোগে সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ অথবা ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ১১ ও ১২ শ্রেণীর জন্য কাযকারি । ভাবসম্প্রসারণ তালিকা SSC HSC JSC বাংলা ২য় পত্রের পরিক্ষায় সহজ ভাবে লিখে ভালো নাম্বার পাবেন সেই ভাবে লেখা হয়েছে।

মূলভাব:

ত্যাগই মানবজীবনের মহৎ আদর্শ। ভোগের সাময়িক সুখানুভূতি ত্যাগের আনন্দের সাথে তুলনীয় নয়। ত্যাগের মধ্য দিয়েই মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধিত হয়। ভোগ বিলাসিতায় প্রকৃতি সুখ পাওয়া যায় না।

সম্প্রসারিত ভাব:

ভোগ নিজের জন্য, ত্যাগ পরের জন্য। ভোগ ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে মানুষের প্রকৃত ষরপ প্রকাশিত হয়। ভোগ মানুষকে তাৎক্ষণিক সুখ দিলেও পরিণামে স্থায়ী দুঃখ-যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাড়ায়। অন্যদিকে ত্যাগী মানুষেরা সাময়িক দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করলেও পরিণামে তাঁরা স্থায়ী সুখ-শান্তিতে দিনাতিপাত করতে থাকেন। সংসারে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা সুখের জন্য লালায়িত। দুনিয়ার মঙ্গলের জন্য যিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দেন, মৃত্যুর পরে তিনি আরো বড় হয়ে বেঁচে উঠেন।

কবির কথায়, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তাঁর ক্ষয় নাই।’

প্রাচুর্য ভোগের মধ্য দিয়ে তারা সুখকে করায়ত্ত করতে সদা সচেষ্ট। কিন্তু ভোগ এমন এক আকাঙ্ক্ষা কিছুতেই যার নিবৃত্তি হয় না। ভোগের চাহিদা অসীম। ফলে ভোগী মানুষেরা প্রকৃত সুখও খুঁজে পায় না। অন্যদিকে কল্যাণের জন্য যে স্বার্থ ত্যাগ তার মধ্যেই আছে প্রকৃত মানসিক প্রশান্তি। ভোগী মানুষ কেবল নিজের জন্যই বাঁচে কিন্তু আগী মানুষ তার মৃত্যুর পরেও হাজার হৃদয়ে জীবন্ত হয়ে থাকেন। এভাবেই মহৎ মানুষেরা তাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রকৃত সুখের সন্ধান লাভ করেন। অন্যদিকে ভোগের মাধ্যমে যারা সুখ খোঁজে প্রকারান্তরে তারা সুখকেই বিসর্জন দেয়। সুখের অন্বেষণে তারা ভোগের মাত্রা বাড়াতে থাকে আর এভাবে সুখের কাছ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই ত্যাগী মানুষই প্রকৃত সুখী।যে ত্যাগ করতে জানে ভোগের অধিকার তারই জন্য। অতএব সপ্রমাণ হয় যে, "ভোগ নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।" মানুষের যথার্থ মনুষ্যত্বের পরিচয় তার ভোগ-লালসার মাধ্যমে প্রকাশ পায় না। পরের জন্যে ত্যাগের মাধ্যমেই মানুষের মনুষ্যত্বের মহত্ত্ব ফুটে ওঠে। নিজের জীবনকে ভোগবিলাসিতায় নিমজ্জিত রাখার মধ্যে হয়তো মাদক আনন্দ পাওয়া যায়, তাতে জীবনের প্রকৃত সুখ ও সার্থকতা আসে না। বরং পরের মঙ্গলের জন্যে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে পারলে প্রকৃত মানবোচিত সুখ অনুভব করা যায়। বস্তুত, পরের জন্যে স্বার্থ ত্যাগ করার মধ্যেই মানুষের মানবিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠ প্রকাশ ঘটে।

মন্তব্য: ‍

 আমাদের জীবনকে ত্যাগ সাধনার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। ভোগবাদী প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে। ভোগ করা ইচ্ছা মানুষকে অন্যায়ের দিকে ধাবিত করে। তাই বলে থাকে ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই প্রকৃতি সুখ

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজেঃ-


ভাবসস্প্রসারণের সম্পূর্ণ তালিকা

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url