ভাবসম্প্রসারনঃ তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখিমা সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ
তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ ভাবসম্প্রসারণ খুব সহজে লিখতে ভালো নাম্বার নিতে পারবনে । তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ ভাবসম্প্রসারণ ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণী এবং SSC HSC JSC PSC বাংলা ২য় পত্রের ভাবসম্প্রসারণ।
ভাবসম্প্রসারণ তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ১১ ও ১২ শ্রেণীর জন্য কাযকারি ।
মূলভাব:
মানুষ্যত্বে পরিচর্যার মধ্য দিয়েই মানুষ প্রকৃত অর্থ মানুষ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। এখানে অন্যান্য প্রাণী ও জীবজগতের সাথে মানুষের পার্থক্য। মানুষ জীবন সার্থকতা পায় মনুষ্যত্ব অর্জনের সাধনায় সফলতা অর্জনের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলি মানুষের সহজাত অর্জন নয় ।
সম্প্রসারিত ভাব:
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্ব জন্মমাত্রই অজিত হয় না। জন্মেন সময় মানবশিশুর সাথে ইতর প্রাণীর কোনো পার্থক্য থাকে না। জীবনের বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ার সামাজিকীকরণ ও মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে মানুষ প্রকৃত অর্থ মানুষ হয়ে উঠে। মানুষ যদি সত্য-সুন্দর ও কল্যাণের সাধনার নিজেকে গড়ে না তোলে তাহলে সে পশুর চেয়েও হীন হয়ে পড়ে । তাই মানুষ সাধনার দ্বারা মানুষ হয় । প্রতিনিয়ত তাকে সচেতন থাকতে হয়, যেকোনো ধরনের স্খলন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হয়। তাছাড়া মানুষের মধ্যে রয়েছে বিপুর তাড়না ও পশু প্রবৃত্তি। একে দমন করা না গেলে মুহূর্তর স্খলনে মানুষ হয়ে পড়ে পথভ্রষ্ট ।এদিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে , তরুলতা বা অন্যান্য ইতর প্রাণীর অবস্থান সুবিধাজনক। তারা প্রাকৃতিক উপায় জন্ম নেয় এবং প্রকৃতির কাছ থেকে খাদ্য পেয়ে আপনা-আপনি বেড়ে উঠে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই তারা পরিপূর্ণতা লাভ করে। তারা সহজেই আত্মবিকাশ সক্ষম হয়। তাদের স্খলিত হবার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মানুষকে প্রকৃতির হতের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলে না। বরং তাকে প্রকৃতিকে জয় করতে হয়, টিকে থাকার সংগ্রামে প্রকৃতি থেকে খাদ্য বস্ত্রসহ অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহণ করতে হয়।
মানুষ জ্ঞান , বুদ্ধি , বিদ্যা হৃদয়জ সুকোমল বৃত্তির অধিতারী । সে পরার্থ আত্মোৎসর্গ করতে পারে। প্রাণপণ চেষ্টায়ই মানুষ এসব গুণাবলিন অধিকারী হতে পারে। কিন্তু পশুপাখি কিংবা তরুরাজির সে ক্ষমতা নেই। অক্লান্ত সাধনায়ই কেবল মানুষ আপন শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে পারে। বেচে থাকার সংগ্রামের পাশাপাশি মানুষকে মানুষ হয়ে উঠার জন্য নিরন্তক সুন্দরের সাধনার ব্রতী থাকতে হয়। যারা এ সাধনা থেকে বিমখু থাকে তারা ব্যর্থ জীবনের গ্লানি বহনে বাধ্য হয়।
মন্তব্য:
জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয় । জীবনে বেচে থাকার জন্য যেমন প্রয়োজন পরিশ্রম তেমনি দরকার সাধনার। তাই মানুষ হয়ে উঠার জন্য চাই নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা ও সাধনা । বিশ্বজগতের সমস্ত সৃষ্টির সাথে এখানেই মানুষের পার্থক্য ও স্বাতন্ত্র।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর এবং বাংলা ২য় ও ইংরেজি ২য় এবং সকল বিষয়ের তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজে নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ-
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।