অনুচ্ছেদ ইন্টারনেট ক্লাস ৬ ৭ ৮ ৯ | SSC HSC JSC

অনুচ্ছেদ ইন্টারনেট ক্লাস ৭ | ইন্টারনেট ক্লাস ৬ ৭ ৮ ৯ ১০

ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট শব্দের অর্থ অন্তর্জাল অসংখ্য কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসকে একে ওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার পদ্ধতিতাকে ইন্টারনেট বলে। ইন্টারনেট আগে আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল।

ইন্টারনেট

বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ

শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০

প্রথমত ইন্টারনেট শব্দের অর্থ “অন্তর্জাল”। ইন্টারনেট শব্দটি দুটি শব্দ সমন্বয় যুক্ত হয়ে হয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট একটি ইংরেজি শব্দ। মূলত ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয় ইথারনেট (Ethernet) থেকে। ইন্টার (Enter) অর্থ “ভিতরে” আর নেট (Net) অর্থ “জাল”। ইন্টারনেট বলতে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের সহজ পদ্ধতি। যেমন বলা যায় বেশি কিছু বা অসংখ্য কম্পিউটার কে তার এর মাধ্যমে একেওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অসংখ্য কম্পিউটার যুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় সেটাই ইন্টারনেট। যাকে ইন্টারনেট ওয়ার্কিং ও বলা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের আধুনিক টেলিযোগাযোগের একটি পপুলার নেটওয়ার্ক মাধ্যম। এই ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক তৈরি করার হয় অপটিক্যাল ফাইবার, টেলিফোন লাইনের তার, ওয়্যারলেস বেতার সংযোগ ব্যবহার করে। এই গুলোর এবং কম্পিউটার মোবইল সহ অন্যান্য সকল ডিভাইস ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এর সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযুক্ত করে তোলে। ইন্টারনেট প্রায় সময় নেট বলা হয়ে থাকে।

প্রথম ইন্টারনেট এর দেখে হয়েছে ১৯৬০ সালে আরপনেট নামে পরিচিত ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলক ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেন। এই চালুকৃত ইন্টারনেট আগে আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। পরে তা আরপানেট থেকে ইন্টারনেট করা হয়েছে। বিশ্বে সবার জন ইন্টারনেট আইএসপি দ্বারা ব্যবহার জন উন্মুক্ত করা হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর পরবর্তি সময়ের দিকে পশ্চিমাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হতে থাকে। ইন্টারনেট জনক হচ্ছে “ভিনটন জি কার্ফ”। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়।

ইন্টারনেট একটি সর্বাধুনিক কম্পিউটার কেন্দ্রিক বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটি একটি বৃহৎ ও জটিল পদ্ধতি। মূলত ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সমন্বিত করে সারাবিশ্বে একটি অভিন্ন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি ছাড়া ইন্টারনেট আর কিছুই নয়। বেসামরিক জনগণের জন্য নেস্কোনেট ব্যবস্থা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। গড়ে উঠে ছোট-বড় অসংখ্য নেটওয়ার্ক। ফলে তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অরাজক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে গত শতাব্দীর নব্বই-এর দশকের শুরুতে বিশ্বের সকল নেটওয়ার্ককে একটি সমন্বিত ও কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়। এভাবেই গড়ে উঠে ‘ইন্টারনেট’ বা নেটওয়ার্কসমূহের নেটওয়ার্ক । বর্তমানে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত এ নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০ শতাংশ হারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইতোমধ্যেই এর সংখ্যা শত মিলিয়নে দাঁড়িয়ে গেছে। ইন্টারনেট বিজ্ঞানের সর্বশেষ বিস্ময়। এটি বিশ্ব যোগাযোগের একটি আধুনিকতম মাধ্যম। ইন্টারনেট বিজ্ঞানের একটি আশীর্বাদও বটে। বিজ্ঞানের এ আশীর্বাদকে মানুষ অপব্যবহার করলেও এর অসীম উপকারকে অনেকেই ভোগ করছে। গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ইন্টারনেট দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। সরকারও এ আধুনিক সুবিধাকে সর্বসাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।




অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ হলো কোন একটি মূল বক্তব্যকে সম্প্রসারিত করে লেখার কয়কেটি পরস্পর সম্পকিত বাক্যের সমষ্টিই অনুচ্ছেদ। কোন একটি নিদিষ্ট চিন্তা/ধারণা বা বিষয়কে কতগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বাক্যের সাহায্যে প্রকাশ করাই হলো “অনুচ্ছেদ লিখন”।


সবগুলো #

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url