বাংলা রচনা : টেলিভিশন রচনা | টেলিভিশন রচনা class 7 6 8 9

বর্তমান বিশ্বের বিনােদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন এখন অগ্রগণ্য। বর্তমান পৃথিবীতে টেলিভিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে টেলিভিশন এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার গ্রিক শব্দ “টেলি” অর্থ দূরত্ব , আর ল্যাটিন শব্দ “ভিশন” অর্থ দেখা টেলিভিশন রচনা

টেলিভিশন রচনা, টেলিভিশন রচনা class  6 7 8 9 10
টেলিভিশন

টেলিভিশন

বিষয়ঃ রচনা (Rochona)

শ্রেণিঃ ক্লাস ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ | Class 6 7 8 9 SSC HSC JSC

ভূমিকা

আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে টেলিভিশন এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার। যে যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে একই সাথে দূর-দূরান্তের কোনো তথ্য বা ঘটনার কথা শ্রবণ ও ছবি দর্শন করতে পারে, তারই নাম টেলিভিশন। টেলিভিশন মানবসভ্যতার ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক সাফল্যের এক অন্যতম নিদর্শন। আজকের দিনে টেলিভিশন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। জাতীয় জীবনে টেলিভিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা টেলিভিশন বর্তমানে একটি শক্তিশালী জনপ্রিয় প্রচার ও গণসংযোগ মাধ্যম।

টেলিভিশন শব্দের আবিষ্কার

গ্রিক শব্দ “টেলি” অর্থ দূরত্ব , আর ল্যাটিন শব্দ “ভিশন” অর্থ দেখা। ইংরেজি Television কথাটি ল্যাটিন Tele ও Vision শব্দ দুটির সমন্বিত রূপ। Tele অর্থ দূর আর Vision অর্থ দেখা বা দর্শন। তাই টেলিভিশনের বাংলা প্রতিশব্দ দূরদর্শন। টেলিভিশনের বাংলা প্রতিশব্দ দূরদর্শন। সাধারণত টেলিভিশন বলতে এমন একটি গ্রাহক যন্ত্রকে বোঝায় যার পর্দায় প্রেরক যন্ত্রের কথা ও ছবি দৃশ্যমান হয়ে উঠে। সাধারণত টেলিভিশন বলতে এমন একটি গ্রাহক যন্ত্রকে বোঝায় যার পর্দায় প্রেরক যন্ত্রের কথা ও ছবি দৃশ্যমান হয়ে উঠে।

টেলিভিশন আবিষ্কার ও ব্যবহার

বর্তমান বিশ্বে বিনােদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন এখন অগ্রগণ্য। বর্তমান পৃথিবীতে টেলিভিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জার্মান বিজ্ঞানী পল নেপকো সর্বপ্রথম টেলিভিশন আবিষ্কারের চেষ্টা চালান। অবশেষে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী লেজি বেয়ার্ড টেলিভিশন আবিষ্কার করেন। প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশবিজ্ঞানী “জন লগি বেয়ার্ড” ১৯২৬ সালে এবং টেলিভিশন ছিল সাদা কালো ছবি দূরে বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে পাঠাতে সক্ষম হন। ১৮৬২ সালে তারের মাধ্যমে প্রথম স্থির ছবি পাঠানো সম্ভব হয়। এরপর ১৮৭৩ সালে বিজ্ঞানী মে ও স্মিথ ইলেকট্রনিক সিগনালের মাধ্যমে ছবি পাঠানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে টেলিভিশন বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করে। প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিস রুশ বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে। এরপরই টেলিভিশন সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। প্রথমে সাদাকালো টেলিভিশন চালু হয়। পরে চালু হয় রঙিন টেলিভিশন। বাংলাদেশে টেলিভিশনের ব্যবহার শুরু হয় ষাটের দশকে।

টেলিভিশন ব্যবহার

প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিস রুশ বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে। ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম ১৯৩০ সালে টেলিভিশন চালু হয়। মার্কিন বিজ্ঞানী জোরিকিন-এর তত্ত্বাবধানে আমেরিকায় ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানি নিউইয়র্কের এক বইমেলায় প্রথম সে দেশের টিভি সম্প্রচার শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং উন্নত বিশ্বে ৫০ এর দশকে টেলিভিশনই প্রধান গণমাধ্যম হয়ে ওঠে।

টেলিভিশনের উপযোগিতা বা গুরুত্ব

টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে তাৎক্ষণিক অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। এর মাধ্যমে বিশ্বে সংঘটিত নানা চমকপ্রদ ঘটনা ও দুর্ঘটনার কথা, বিশ্বখ্যাত বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খবর ও দৃশ্য মানুষ শুনতে ও দেখতে পায়। জাতীয় জীবনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা, সে সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আলোচনা ও পরামর্শ আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমেই লাভ করতে পারি। টেলিভিশন আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আমাদের পূর্বাভাস প্রদান করে এবং তা থেকে আত্মরক্ষা সম্পর্কে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করে জাতীয় জীবনে বিশেষ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশে টেলিভিশনের ব্যবহার

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে, পাকিস্তান টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়। পরবর্তীতে সরকারিভাবে ১৯৬৮ সালে রামপুরা টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র চালু হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান টেলিভিশন বাংলাদেশ টেলিভিশন-এ রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৬ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রথম ঢাকার বাইরে টিভি সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর চট্টগ্রামে টিভি কেন্দ্র চালু হয়। প্রথম দিকে বাংলাদেশে শুধু ধনী ও উচ্চবিত্তের ঘরে টেলিভিশন দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ ঘরেও টিভি দেখা যায়। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিটিভি ছাড়াও এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চ্যানেল-এ অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

টেলিভিশন বিভিন্ন ভাগ

টেলিভিশন ডিসপ্লে বা প্রদর্শনীর প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে টেলিভিশনকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন : সিআরটি (CRT), প্লাজমা (Plasma), এলসিডি (LCD), এলইডি (LED) ইত্যাদি। সম্প্রচার থেকে প্রদর্শন পর্যন্ত টেলিভিশনের সম্পূর্ণ পদ্ধতিকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায় : এনালগ টেলিভিশন (সনাতন পদ্ধতি), ডিজিটাল টেলিভিশন (DTV) ও এইচডিটিভি (HDTV)। এনালগ টেলিভিশন তথা সনাতন টিভি পদ্ধতি অর্থাৎ টিভি ক্যামেরা, ট্রান্সমিটিং সিস্টেম এবং টিভিসেট সবগুলোই কাজ করে এনালগ পদ্ধতিতে।

বিনোদনের মাধ্যম

টেলিভিশন গতিময় কর্মকাণ্ডের মাঝে এনে দেয় দু'দণ্ড বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ। এটি নাচ, গান, নাটক, প্রহসন, শ্রেণি-বিদেশি সিনেমা, বিভিন্ন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, আকর্ষণীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রদর্শন করে বিনোদন চাহিদা পূরণ করে। জ্ঞান বিস্তার তথা জাতি গঠনে টেলিভিশনের ভূমিকা : বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অশিক্ষিত। টেলিভিশন শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে জাতিকে একটি সাক্ষর জনগোষ্ঠীতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্তর এর ব্যবহার হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মানুষ সভ্যতার শিখরে উন্নীত হচ্ছে। স্যাটেলাইট বিশ্বকে পরিণত করেছে 'Global Village' এ। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিমুহূর্তের সংবাদ আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিকম্প, ঝড় সহ যেকোনো পরিস্থিতির খবর বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে পাওয়া যায় টেলিভিশনের মাধ্যমে। টেলিভিশন মাধ্যমে যে কোন জায়গায় থেকে বিভিন্ন ধরনের খবর পাওয়া যায়।

শিক্ষাক্ষেত্রে টেলিভিশন

বর্তমান বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে টেলিভিশন এর ব্যবহারে ফলে অনেক উপকার হচ্ছে। সহজ ও সুগম শিক্ষাদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী মাধ্যম টেলিভিশন। এখানে হাতে-কলমে একত্রে অনেককে এক সাথে শিক্ষাদান করা সম্ভব। এছাড়াও ডিসকভারি, অ্যানিম্যাল প্লানেট, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, হিস্টরি প্রভৃতি চ্যানেলের মাধ্যমে নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। টেলিভিশনে প্রচারিত আলোচনা অনুষ্ঠান, সেমিনার, বিতর্ক প্রভৃতি জ্ঞানকে প্রসারিত করে। এছাড়া টেলিভিশনে ধারণকৃত তথ্য একই সাথে দেখা ও শোনা যায় যা শিক্ষার উপযুক্ত মাধ্যম।

টেলিভিশনের আউটপুট

টিভি ক্যামেরা যার কাজ হচ্ছে শব্দ ও ছবিকে তড়িৎ-চৌম্বকীয় সংকেতে রূপান্তর করা, টিভি ট্রান্সমিটার যার কাজ হচ্ছে এই সংকেতকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে প্রেরণ করা এবং টিভি সেট (রিসিভার) যার কাজ হচ্ছে এই সংকেত গ্রহণ করে তাকে আগের ছবি ও শব্দে রুপান্তরিত করা। অনুযায়ী আদর্শ পাঠদান পদ্ধতি চালু করে টেলিভিশন শিক্ষাক্ষেত্রে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও কল্পনাশক্তির বিকাশ সাধনের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে দেশ ও জাতির সমকালীন সমস্যাবলির ওপর বিতর্ক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের স্পৃহাকে জাগ্রত করার অন্যতম সহায়ক উপকরণ টেলিভিশন। এছাড়া টেলিভিশনের মাধ্যমে বিশিষ্ট কৃষিবিদগণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রক্রিয়া প্রদর্শন ও বর্ণনা করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়তা করতে পারেন । টেলিভিশনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা, সমকালীন সাহিত্য ও সংস্কৃতি, কুটির শিল্পের প্রসার ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দান করা সম্ভব।

টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাদান

টেলিভিশনে প্রদর্শিত অনুষ্ঠানমালায় তরুণ ও কিশোর সম্প্রদায়ই সর্বাধিক আকৃষ্ট হয়ে থাকে। টেলিভিশনের সাহায্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের সম্পূরক হিসেবেও টেলিভিশন ব্যবহৃত হতে পারে। দেশ-বিদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে পরিচয় করানো ছাড়াও টেলিভিশন দেশের ও বিদেশের বিদ্যমান নানা সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ জ্ঞানদান করতে পারে। দেশের পশ্চাৎপদ জনগণের মাঝে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রচারে টেলিভিশন কিছুটা হলেও অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণ টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে। গণশিক্ষা কর্মকাণ্ডও টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।

টেলিভিশনের অপকারিতা

বিজ্ঞানের আশীর্বাদ হলেও টেলিভিশন অনেক ক্ষেত্রে অভিশাপ হিসেবেও চিহ্নিত হতে পারে। টেলিভিশনের কারণে ছেলেমেয়েরা অনেক সময় পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। টেলিভিশনে প্রদর্শিত কুরুচিপূর্ণ মারদাঙ্গা দৃশ্য সমাজে সন্ত্রাস ডেকে আনে। অনেক ক্ষেত্রে টেলিভিশনের মাধ্যমে অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটানো হয়। অনেক অনুষ্ঠান যুবসমাজের নৈতিক মূল্যবোধ নষ্ট করে। বর্তমানে স্যাটেলাইট চ্যানেলসমূহের অবাধ বিস্তার ঘটার ফলে দেশে সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। টেলিভিশন থেকে নির্গত গামারশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর।

বাংলাদেশ ও টেলিভিশন

বাংলাদেশে টেলিভিশনের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৬৪ সালে। তখন DIT এর সংকীর্ণ পরিবার থেকে কোনো রকমে কাজ চালাতে হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর রামপুরায় আধুনিক টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন রঙ্গিন অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় ১৯৮৪ সালে ও তালিবাবাদে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হয়। এর ফলে আমরা পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে প্রেরিত দৃশ্য আমাদের টেলিভিশন সেটে সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাই। বাংলাদেশে সরকারি টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে ATN বাংলা, Chanel I, বাংলাভিশন, ইটিভি, বৈশাখী, দিগন্ত, ইসলামিক টিভি, এনটিভি, দেশ টিভি ইত্যাদি অনেক চ্যানেল রয়েছে।

উপসংহার:

টেলিভিশন একটি শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আজ টেলিভিশন বিস্তৃত। অতএব দেশ গঠনে, জ্ঞানের প্রসারে, শিক্ষার উন্নয়নে টেলিভিশন বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে জনগণ বিশেষত যুবসমাজের নৈতিক অধঃপতনও অনিবার্য হয়ে দেখা দিতে পারে ।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন?

উত্তরঃ প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশবিজ্ঞানী ”জন লগি বেয়ার্ড” ১৯২৬ সালে এবং টেলিভিশন ছিল সাদা কালো ছবি দূরে বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে পাঠাতে সক্ষম হন।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে টেলিভিশন কত সালে ব্যবহার শুরু হয়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে টেলিভিশনের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৬৪ সালে।

প্রশ্নঃ কোন প্রতিষ্ঠান প্রথম টেলিভিশন সম্প্রচার করেন?

উত্তরঃ প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিস রুশ বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে।

প্রশ্নঃ বিবিস রুশ বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী কত সালে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে?

উত্তরঃ ১৯৩৬ সালে।

কৌণিক বার্তা.কম কে সাহায্য করোঃ
রচনাটি সম্পূর্ণ করার জন্য কিছু পয়েন্ট প্রয়োজন। আপনি চাইলে কিছু পয়েন্ট দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন। নতুন রচনা লিখে দিতে চাইলে দিতে পারবেন, ধন্যবাদ।

# টেলিভিশন রচনা # টেলিভিশন রচনা সপ্তম শ্রেনী #টেলিভিশন রচনা class 3 # টেলিভিশন রচনা class 5 # টেলিভিশন রচনা class 6 # টেলিভিশন রচনা class 7 # টেলিভিশন রচনা পঞ্চম শ্রেণি

বাংলা প্রবন্ধ রচনা তালিকা


সবগুলো #

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url