লক্ষৌ চুক্তি কি? এর শর্তবলী
লক্ষৌ চুক্তি কি?
এদিকে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করায় মুসলমানরা ব্রিটিশ সরকারকে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করে। ১৯১২-১৯১৩ সালের বলকান যুদ্ধকে মুসলমান ইসলামের তরবারি তুরস্কের প্রতি খ্রিস্টান শক্তির ষড়যন্ত্র বলে ধরে নেয় এবং ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরষ্ক জার্মানির পক্ষ অবলম্বন করায় পরিস্থিতি আর ও জটিলতার হয়ে উঠে। অন্যদিকে, ভারতীয় তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এহেন অবস্থায় প্রেক্ষাপটে ভারতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ভারতের ভবিষ্যৎ সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে এ দুটি রাজনৈতিক সংগঠন ব্রিটিশ সরকারের নিকট যুক্তি পরিকল্পনা পেশ করবেন। এ উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে পৃথক পৃথক শাসনতান্ত্রিক প্রণয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়।
১৯১৬ সালের ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর লক্ষৌতে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশন শুরু হলে উভয়ের অধিবেশনে কমিটি কর্তৃক যুক্ত সাংবিধানিক পরিকল্পনা উত্থাপতি হয় এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ভারতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ কৃর্তক গৃহীত এ সংবিধানিক পরিকল্পনাটিই লক্ষৌ চুক্তি নামে অভিহিত।
লক্ষৌ চুক্তির শর্তবলী
১। মুসলিম লিগ কংগ্রেসের স্বায়ত্তশাসনের নীতি মেনে নেবে।
২। কংগ্রেস মুসলিম লিগের পৃথক নির্বাচন নীতির স্বীকৃতি জানাবে।
৩। প্রতিটি কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন সভায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য মুসলিম প্রতিনিধি থেকে হবে।
৪। মুসলিম লিগ ও কংগ্রেস সদস্যরা যৌথভাবে স্বায়ত্তশাসনের আদায়ের জন্য ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে।
৫। উভয় দলই স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্দিষ্ট দিন, তারিখ, প্রভৃতি ঘোষণার দাবি জানাবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।