ভাবসম্প্রসারণ : বিত্ত হতে চিত্ত বড় | SSC HSC JSC

বিত্ত হতে চিত্ত বড়

ধন-সম্পদ মানুষকে বাহ্যিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। কিন্তু মনের প্রশান্তির জন্য বিত্তের প্রয়োজন হয় না। বিত্ত শব্দের আভিধানিক অর্থ- ‘ধন’, ‘সম্পদ’। অপরদিকে ‘চিত্ত’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘হৃদয়’, ‘অন্তকরণ’। - বিত্ত হতে চিত্ত বড় ভাবসম্প্রসারণ

বিত্ত হতে চিত্ত বড়

ভাবসম্প্রসারণ  বিত্ত হতে চিত্ত বড় অথবা, বিষ হতে চিত্ত বড় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ১১ ও ১২ শ্রেণীর জন্য কাযকারি । ভাবসম্প্রসারণ তালিকা SSC HSC JSC বাংলা ২য় পত্রের পরিক্ষায় সহজ ভাবে লিখে ভালো নাম্বার পাবেন সেই ভাবে লেখা হয়েছে।

মূলভাব:

বিত্ত অর্থঃ ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, আর চিত্ত অর্থঃ মন বা অন্তর। ধন-সম্পদ মানুষকে বাহ্যিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। কিন্তু মনের প্রশান্তির জন্য বিত্তের প্রয়োজন হয় না। বিত্ত শব্দের আভিধানিক অর্থ- ‘ধন’, ‘সম্পদ’। অপরদিকে ‘চিত্ত’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘হৃদয়’, ‘অন্তকরণ’। পার্থিব মানুষের কাছে আপাতদৃষ্টিতে বিত্ত বড়ই লোভনীয়, কাম্য।

সম্প্রসারিত ভাব:

তাই কৃপণ ধনী ব্যক্তি মারা যাবার সাথে সাথে মানুষ তাকে ভুলে যায়। অথচ অনেক রাজা বাদশা আভিজাত্য ও ঐশ্বর্যের পথ ত্যাগ করে মানবতার তরে কাজ করে গেছেন। একারণে তাদের কথা মানুষ মনে রাখে। উদাহরণ হিসেবে রয়েছে গৌতম বুদ্ধ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন, শ্রীচৈতন্যসহ অনেক মহান ব্যক্তি। এসব মানুষই প্রকৃত মানুষ। কারণ তারা বিত্তকে তুচ্ছ করে হৃদয়ের ডাকে সারা দিয়েছেন। আর তাই সভ্যতার ইতিহাসে তারাই স্মরণীয় হয়ে আছেন। পৃথিবীতে অনেক দেশে সম্পদের অভাব নেই কিন্তু সেখানে মানুষের মনের শান্তি নেই। উন্নত দেশগুলোর মানুষের মাঝে পারিবারিক বন্ধন অনেক দুর্বল। তাই আজ তাদের মাঝেও দেখা যায় পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করার নানা উদ্যোগ। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে অর্থঃ নয় মানসিক প্রশান্তিই প্রকৃত শান্তি। সুখ-সম্পদের প্রাচুর্য জড় করে আমরা আজ মনের মুক্তিকে অনুসন্ধান করে চলেছি। পাশ্চাত্যের দিকে তাকালে দেখব, পার্থিব উপকরণের সেখানে অভাব নেই, চিত্তের থেকে বিত্তেরই সেখানে প্রাধান্য। তবু তারা চিত্তমুক্তির অভাবে হতাশাগ্রস্ত। মানুষ হিসেবে তারা আঁকড়ে ধরতে চাইছেন। ত্যাগের মাধ্যমেই আসে ভোগের সার্থকতা। কাজেই মন যখন প্রসন্নভাবে মনুষ্যত্বকে একমাত্র মূলধনরূপে গ্রহণ করে বিলাস সামগ্রীর পরিমাণে সে বদ্ধ হয় না। আবার বিষয়বোধের জন্য যে প্রেরণা জাগে, তাতে মানুষ মানুষকে ঘৃণা করে। অথচ চিত্তের ঐশ্বর্যে যিনি ধনী তিনি সংকটের মুখোমুখি হন না। বুদ্ধদেব, শ্রীচৈতন্য পার্থিব সুখ ভোগ ছেড়ে পথের মানুষের জন্য ভিক্ষাব্রত নিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে কত রাজা, কে মনে রেখেছে? অন্যদিকে বিত্তের হাতছানিকে তুচ্ছ করে যাঁরা চিত্তমুক্তির পতে পা বাড়িয়েছেন, মানবসভ্যতার ইতিহাসে তারাই প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছেন।

মন্তব্য:

কাজেই আমরা যদি বাইরের চাকচিক্যের চেয়ে অন্তরের মহত্ত্বকে বড় বলে জ্ঞান করি, তাহলে পাশ্চাত্যের মত ভবিষ্যতে আমাদের হতাশার শিকার হতে হবে না।

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজেঃ-


ভাবসস্প্রসারণের সম্পূর্ণ তালিকা b

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url