এসি কেনার আগে জনতে হবে এসির 'টন' কী?

বাংলাদেশ তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হচ্ছে মানুষ। তাই একটু ক্ষানি প্রশান্তি পেতে সবাই মার্কেটে ছুটছেন এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কিনতে। তবে যেকোনো টনের এসি কিনলেই হবে এতে করে আপনার খরচ বেড়ে যাবে। অনেকেই জানেনা এসির টন কী? আসলে এসির টন এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না।

এসি কেনার আগে জনতে হবে এসির 'টন' কী?
এসি কেনার আগে জনতে হবে এসির 'টন' কী?

এসির টন কী?

এসির টন কিন্তু এসির ওজন বা সাইজকে বোঝায় না। এসির টন হচ্ছে এসি থেকে কত পরিমাণ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে। ১ টন এসি মানে হলো ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার এবং ১.৫ টন হচ্ছে ১৮০০০ বিটিইউ /আওয়ার এই ভাবে এসির টন বাড়তে থাকে। এক টনের একটি এসি প্রতি ঘণ্টায় ঘর থেকে ১২০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে। ২ টন এসি প্রতি ঘণ্টায় ২৪ হাজার বিটিইউ/আওয়ার তাপ বের করে দেওয়া হয়। 

একটু সহজ করে বলে ১ টন বরফ এক ঘণ্টায় ১ ঘরের তাপমাত্রা যতটা ঠান্ডা করতে পারে, তেমনি ১ টন এসির কার্যক্ষমতাও একই সমান। তাই যত বেশি টন এসি তত বেশি কুলিং করার ক্ষমতা বেশি।

ঘরের জন্য কত টন এসি কিনতে হবে?

আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি প্রয়োজন তা নির্ভর করবে আপনার ঘরের জিনিসপত্র ও অবস্থান এর ওপর। আপনার ঘরের আকার কততম ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ কেমন লাগে এবং কত জন্য মানুষ থাকবে, ঘরে কোনো হিটিং জিনিসপত্র যেমন- ওভেন বা আয়রন ব্যবহার করবেন কি না, জানালা, দরজা, পর্দা, সিলিং, ফ্লোর- এসবের হিট কন্ডাকটিভিটি কেমন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

আপনি যদি ১০০-১২০ ফুট স্কয়ার ঘরে এসি লাগাতে চাইলে ১ টন এসি যথেষ্ট। আর ঘর যদি ১২০-১৫০ ফুট স্কয়ার হয় তাহলে আপনার প্রয়োজন ১.৫ টন এসি, এবং ১৫০-২৫০ ফুট স্কয়ার বা তার বেশি আয়তনের ঘরের ২ টন ক্ষমতার এসি (AC) প্রয়োজন। ঘর যদি ২৫১-৪০০ স্কয়ার ফিট বা তার চেয়ে বেশি আয়তনের হয় তাহলে ২.৫ টন বা তার থেকে বেশি টন এসি কিনতে পারেন। এছাড়া অনলাইনের মধ্যে এসি কেনার সময় বেশ কিছু বিষয়ে খেয়ার রাথা দরকার। যেমন ডেলিভারি আর ইন্সটলেশন চার্জ কেমন, ওয়ারেন্টি ঠিকঠাক আছে কিনা এগুলো জেনে নেবেন।

এসি ব্যবহারের আগে আরও যা জানা দরকার

এসি দীর্ঘসময় ধরে চালানো উচিত না। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিতে হবে। এসির আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখতে হবে যেন সেটা গাছ দিয়ে ঢাকা না থাকে। খোলামেলা ও বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখবেন এসির বাইরের অংশ। এসি বেশি ব্যবহৃত হলে ৬ মাসে একবার এবং কম ব্যবহৃত হলে বছরে একবার বিশেষজ্ঞ হাতে সার্ভিসিং করাতে হবে। এতে করে আপনার এসি ভালো চলতে এবং দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।



এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url