বাংলা রচনা : ইন্টারনেট | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেট | SSC HSC JSC

ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্ক অন্তৰ্জাল বা ইন্টারনেট হলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, ইন্টারনেট আগে আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে।

ইন্টারনেট রচনা, Global Communication Network
ইন্টারনেট

ইন্টারনেট

অথবা, আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট অথবা, বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেট

বিষয়ঃ রচনা

শ্রেণিঃ class 6 7 8 9 | ক্লাস ৬ ৭ ৮ ৯

ভূমিকা

আমরা বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগে বসবাস করছি। আর বিজ্ঞানের উৎকর্ষজনিত আশীর্বাদের অন্যতম সুবিধা হলো ইন্টারনেট (Internet) ব্যবস্থা। ইন্টারনেট তথ্য যোগাযোগের একটি আধুনিকতম বিশ্বায়ন ব্যবস্থা। যা সারা দুনিয়ার মানুষকে একটি যোগাযোগ জাল (NET)-এ আবদ্ধ করেছে। সত্যিকার অর্থেই ইন্টারনেট একটি বিস্ময়কর ও বিপ্লবাত্মক উদ্ভাবন।

ইন্টারনেটের পরিচয়

ইন্টারনেট একটি সর্বাধুনিক কম্পিউটারকেন্দ্রিক বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটি একটি বৃহৎ ও জটিল পদ্ধতি। মূলত ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সমন্বিত করে সারাবিশ্বে একটি অভিন্ন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি ছাড়া ইন্টারনেট আর কিছুই নয়।

ইন্টারনেট শব্দ

প্রথমত ইন্টারনেট শব্দের অর্থ “অন্তর্জাল”। ইন্টারনেট শব্দটি দুটি শব্দ সমন্বয় যুক্ত হয়ে হয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট একটি ইংরেজি শব্দ। মূলত ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয় ইথারনেট (Ethernet) থেকে। ইন্টার (Enter) অর্থ “ভিতরে” আর নেট (Net) অর্থ “জাল”। ইন্টারনেট বলতে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের সহজ পদ্ধতি। যেমন বলা যায় বেশি কিছু বা অসংখ্য কম্পিউটার কে তার এর মাধ্যমে একেওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়।

ইন্টারনেটের আবিষ্কার

প্রথম ইন্টারনেট এর দেখে হয়েছে ১৯৬০ সালে আরপনেট নামে পরিচিত ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা  অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলক ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেন। এই চালুকৃত ইন্টারনেট আগে আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। পরে তা আরপানেট থেকে ইন্টারনেট করা হয়েছে। বিশ্বে সবার জন ইন্টারনেট আইএসপি দ্বারা ব্যবহার জন উন্মুক্ত করা হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর পরবর্তি সময়ের দিকে পশ্চিমাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হতে থাকে। ইন্টারনেট জনক হচ্ছে “ভিনটন জি কার্ফ”। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়।

পেছনে ফিরে দেখা

 বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাপকভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহৃত হলেও প্রথম দিকে এর ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল সাময়িক। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগ (পেন্টাগন) পরমাণু আক্রমণ প্রতিরোধকল্পে বৈজ্ঞানিক, সামরিকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে একটি নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। এ নেটওয়ার্কের আওতায় পেন্টাগন তার চারটি কম্পিউটারের মধ্যে টেলিফোনের বিকল্প হিসেবে যোগাযোগ গড়ে তোলে। এর নাম দেওয়া হয় 'ডার্পানেট'। তিন বছরের মধ্যে এর নাম বদলে করা হয় 'অর্পানেট'। আশির দশকে স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর যুক্তরাষ্ট্রের 'ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন' সর্বসাধারণের জন্য একটি অভিন্ন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক চালু করে। যার নাম দেওয়া হয় 'নেস্কোনেট'।

ইন্টারনেটের বিস্তৃতি

বেসামরিক জনগণের জন্য নেস্কোনেট ব্যবস্থা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। গড়ে উঠে ছোট-বড় অসংখ্য নেটওয়ার্ক। ফলে তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অরাজক অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্যে গত শতাব্দীর নব্বই- এর দশকের শুরুতে বিশ্বের সকল নেটওয়ার্ককে একটি সমন্বিত ও কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়। এভাবেই গড়ে উঠে 'ইন্টারনেট' বা নেটওয়ার্কসমূহের নেটওয়ার্ক। বর্তমানে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত এ নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০ শতাংশ হারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইতোমধ্যেই এর সংখ্যা শত মিলিয়নে দাঁড়িয়ে গেছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকরণ 

ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হলো একটি কম্পিউটার। কম্পিউটারকে সংযুক্ত করতে হয় টেলিফোন লাইনের সাথে। কম্পিউটারে বিশেষ ধরনের নেটওয়ার্কিং সফটওয়ার স্থাপন আবশ্যক। আরেকটি অত্যাবশ্যক জিনিস হলো মডেম যার পূর্ণ নাম Modulator (মডিউলেটর) । এটি তথ্যাবলিকে একক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে প্রেরণের জন্য রূপান্তর কাজ সম্পন্ন করে। সেই সাথে প্রয়োজন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট চার্জের বিনিময়ে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবার সুবিধা প্রদান করে ।

শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার

বর্তমানে যেকোন দেশের শিক্ষার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে শিক্ষাভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত হচ্ছে ফলে সাইটগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে প্রথমে একটি কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইস দরকার। কোনো শিক্ষার্থী পড়ালেখায় কোনো একটা বিষয় বুঝতে না পারলে সে যদি ইন্টারনেটে সেটি অনুসন্ধান করে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা পেয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব

প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে, কোন ছাত্র যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিখতে চায়, জানতে চায় সে ইন্টারনেটে তা খুঁজে নিতে পারে। এ জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষ সার্চ ইঞ্জিনও তথ্য প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করেছেন। বর্তমানে সার্জ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করার খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। নিজে মাতৃভাষা মাঝে আপনি যে কোন কিছু সার্চ করতে পারবেন। তবে এ সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহার করার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। গণিতের অত্যন্ত চমৎকার কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে গণিতের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাতে-কলমে দেখার জন্যও সাইট রয়েছে।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের যে জয়জয়কার তার স্রোত থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন নয়। ১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার চালু হয়। এরপর দ্রুত এটি সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ইতোমধ্যে টিএন্ডটি বোর্ড পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ভি-স্যাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলাকে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই অধিকাংশ জেলা এ সুবিধার আওতায় এসেছে।

ইন্টারনেটের শিক্ষা/ব্যবহার

ইন্টারনেটের শিক্ষা বা ব্যবহার বহুমুখী। এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। ই-মেইল (Electronic Mail)-এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে পত্র যোগাযোগ করা যায়। ব্যবসায়িক চুক্তি, মতামত বিনিময়, পণ্য ও সেবাসমূহের বিশদ বিবরণ কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে উঠে। Telent এর মাধ্যমে টেলিফোন যোগাযোগ, Chat বা পরস্পর আলাপ-আলোচনা, www (World Wide Web)-এর মাধ্যমে সচিত্র তথ্য প্রদর্শন করা যায়। এটি ব্যক্তিগত প্রাতিষ্ঠানিক ও বাণিজ্যিক প্রচারণার কাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইন্টারনেট-এ সংবাদ আদান-প্রদান ছাড়াও সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিনোদন, জ্ঞানের জগৎ, প্রাণিজগৎ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্যসহ বহুবিধ বিষয় চোখের সামনে ভাসিয়ে তোলা যায়।

ইন্টারনেটের বাণিজ্যিকীকরণ

 ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বিশাল বাণিজ্যিক বলয় গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এক ডজনেরও অধিক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে। গড়ে উঠেছে 'সাইবার কাফে' নামক তথ্য বিনোদন কেন্দ্র। যাদের নিজস্ব ইন্টারনেট সংযোগ নেই তারা বিভিন্ন তথ্য যোগাযোগ করে এসব কাফেতে বসে। অপরদিকে সাধারণ ফোন-ফ্যাক্সের দোকান থেকেও ই-মেইলসহ নেটফোন সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন সেবা ও সুযোগ নিয়ে ইন্টারনেটকে ঘিরে কর্মসংস্থানসহ যেসব বাণিজ্যিক পরিমণ্ডল পড়ে উঠেছে তার থেকে সরকারও কোটি কোটি টাকা রাজস্ব লাভ করছে।

ইন্টারনেটের অপকারিতা

ইন্টারনেট যত উপকারীই হোক এর কিছু নেতিবাচক দিকও অস্বীকার করা যায় না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অশ্লীল যৌনতার প্রসার ঘটেছে। এতে সাইবার কাফেগুলোতে উঠতি তরুণশ্রেণি ভিড়মি খেয়ে পড়ছে। তরুণসমাজ নৈতিক অবক্ষয়ের মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রায়শই ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়ানো হয় যার ফলে লাখ লাখ কম্পিউটারের তথ্য ধ্বংস হয়ে যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভীতি ছড়ানো বার্তা প্রচার করা হয়। বিজ্ঞানের অন্যান্য আবিষ্কারের মতো ইন্টারনেটেরও কিছু ক্ষতিকর দিক সমাজজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা

যেকোন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে । নিচে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

তথ্যের সহজলভ্যতা, ইন্টারনেটের সাহায্যে কম পরিশ্রমে সহজে যেকোন তথ্য বিস্তারিত যাবতীয় জেনে নেওয়া যায়। ইন্টানেট ছাড়া আর অন্য কোনো মাধ্যম থেকে এতসহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।

বিনামূল্যে তথ্য সংগ্রহ, বিভিন্ন বইপত্র কিনে লাইব্রেরী বা গবেষণাগারে নিয়মিত যাতায়াত করে ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ করা বিপুল অর্থব্যয় ও সময় সাপেক্ষ। হয়ে থাকে যা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অনেক কম। খুব সামান্য অর্থ ও সময় ব্যয় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।

 সকল প্রশ্নোত্তর, যেকোন কাজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন জাগলে অনেক সময় ইন্টারনেটে সেই প্রশ্ন লিখে সার্চ করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়। যা আমাদের সময় এবং সাশ্রয় করে থাকে। এখন আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে ইন্টানেটে সার্চ করে দেখতে পারেন।

ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা

এটি ব্যবহার করে যেমন সুবিধা ভোগ করি তেমনী অনেক অসুবিধা রয়েছে যেগুলো আমাদের বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে ও ব্যবহার করতে হবে। যেমন—

নির্ভরযোগ্যতা, ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলির যথার্থতা বা নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা খুবই কঠিন। একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

গবেষণার মান হ্রাস, ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠক ও গবেষকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ফলে গবেষণার গুণগত মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

তথ্যের অসম্পূর্ণতা, বহু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়। এর পূর্ণাঙ্গ কাজটি পাওয়া না যাও য়ায় পাঠক ও গবেষকগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।

উপসংহার

ইন্টারনেট বিজ্ঞানের সর্বশেষ বিস্ময়। এটি বিশ্ব যোগাযোগের একটি আধুনিকতম মাধ্যম। ইন্টারনেট বিজ্ঞানের একটি আশীর্বাদও বটে। বিজ্ঞানের এ আশীর্বাদকে মানুষ অপব্যবহার করলেও এর অসীম উপকারকে অনেকেই ভোগ করছে। গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ইন্টারনেট দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। সরকারও এ আধুনিক সুবিধাকে সর্বসাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।



বাংলা প্রবন্ধ রচনা তালিকা


সবগুলো #

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url